পুজোর গন্ধে ম ম করছে চারপাশ। আর উৎসব মানেই জমিয়ে সাজগোজ। পছন্দের পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়নাগাটি। সঙ্গে রূপটান তো আছেই। কিন্তু উৎসবের আবহে ত্বকে চাই বাড়তি জেল্লা। অনেকেই চান তাঁর ত্বক যেন হয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তীর মতো সুস্থ এবং সুন্দর। মেকআপ-এর সামগ্রী ব্যবহারের প্রভাব যেন ত্বকে না পড়ে। লক্ষ রাখা জরুরি সে দিকেও। তার জন্য পুজোর আগে আলাদা রূপরুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। ত্বক যত্নে রাখবে, এমন কয়েকটি উপাদান রোজ ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের জৌলুসই শুধু বাড়বে না, ভিতর থেকে তা সজীবও থাকবে।
ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর রাখতে নামীদামি সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যেতে পারে। পুজোর আগে ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ৫টি ধাপ যোগ করলেই, পুজোর আগে সালোঁয় না গিয়েও পেতে পারেন জেল্লাদার ত্বক।
ক্লিনজ়িং: মুখ পরিষ্কার করতে সবার আগে জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে মুখে স্প্রে করুন। আলতো হাতে মুখে মালিশ করুন। এ বার জল দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন। সুতির কাপড়ে মুখ মুছে নিন। মধু ব্রণর সমস্যা সমাধানে উপকারী, ত্বকে সংক্রমণ ঠেকাতেও কার্যকর। এ ছাড়া এই প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার ত্বককে নরমও রাখে।
টোনিং: গোলাপজল কিংবা ঠান্ডা করা গ্রিন টি তুলোয় ভিজিয়ে সারা মুখে আলতো হাতে বুলিয়ে নিন। গোলাপজল ওপেন পোরসে্র সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে, ত্বকে জেল্লাও আনে। আর গ্রিন টি সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজ়িং: নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল কিন্তু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে কাজ করে। অল্প মাত্রায় এই তেল নিয়ে সারা মুখে আলতো হাতে মেখে নিন। নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল ত্বকে জেল্লা আনতে সাহায্য করে। ত্বককে নরম আর আর্দ্র রাখে।
সানস্ক্রিন: অ্যালো ভেরা জেল আর হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘরোয়া উপায়ে সানস্ক্রিন বানিয়ে ফেলতে পারেন। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে রেহাই পেতে হলুদ বেশ কার্যকর।
রিফ্রেশমেন্ট স্প্রে: বাড়ি ফিরে ত্বক ক্লান্ত লাগলে মুখে শসার জল স্প্রে করতে পারেন। এই জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বকে জেল্লা আনতে সাহায্য করে।