এক থালা ভাতে একটু গাওয়া ঘি হলে আর কথাই নেই। খাদ্যরসিক বাঙালির প্রথম পাতে একটু ঘি থাকবেই। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, নিয়মিত ঘি খেলে চেহারাতেও শ্রী ভাব ফুটবে। তবে একান্তই যদি ঘি খাওয়ার সমস্যা থাকে, তবে ত্বকের শ্রী ফেরাতে ঘি মাখাও যেতে পারে!
ত্বকে ঘিয়ের ব্যবহার কিন্তু চমকপ্রদ ফল দেয়। ফেসপ্যাক বা ব্রাইডাল রূপটানে ঘি ব্যবহার করলে আর পার্লারে গিয়ে ফেশিয়াল করার প্রয়োজন হবে না। ঘিয়ে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই— যারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাওয়ায় ভেসে থাকা দূষণের কণাগুলির সঙ্গে লড়তে সক্ষম। তার সঙ্গে এই তিনটি ভিটামিনই কোনও না কোনও ভাবে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ঘিয়ে আবার অ্যান্টি-এজিং গুণও রয়েছে। নিয়মিত ব্যবহারে বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলি হয়, সেগুলি চলে যাবে। তবে ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে বা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এবং তাতে র্যাশ থাকলে ব্যবহার না করাই ভাল।
কী ভাবে ব্যবহার করবে ঘি?
১) ঘি ত্বকের উপরে ব্যবহার করা যেতে পারে নানা ভাবে। মধুর সঙ্গে ঘি মিশিয়ে মুখে ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখের ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে ওই ফেস প্যাক।
২) ত্বকে র্যাশ বা কালসিটের উপরে ঘি লাগালে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। ত্বক সুস্থ হয় দ্রুত।
৩) রাতে শোওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) ঘিয়ের সঙ্গে চিনি, লেবুর রস, হলুদ এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।
বডি পলিশিংয়ে ক্লেনজ়িং, স্ক্রাবিং, প্যাক এবং মাসাজ ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি পদ্ধতিতেই আপনি ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ক্লেনজ়িংয়ের জন্য কাঁচা দুধ নিন দেড় কাপ। তাতে বেসন এবং এক চামচ ঘি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে একটি গরম জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিন। দেখবেন ত্বকের জেল্লা ফিরে এসেছে।