ফুটন্ত তেলে দু’চিমটে দানাই যথেষ্ট। মাছের ঝোলের টাটকা সুবাস যেন রসনাতৃপ্তি আরও বাড়িয়ে তোলে। কালো জিরের গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য যেন এখানেই শুরু, এখানেই শেষ। কালো এই দানার তেল রূপচর্চার জগতেও বেশ কার্যকরী হতে পারে। কেবল জানতে হবে এর উপকারিতা এবং ব্যবহারের কৌশল।
কোল্ড প্রেস করে অর্থাৎ কাঠের ঘানিতে পিষে কালো জিরে থেকে তেল বার করা হয়। সেই তেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তেমনই কেশচর্চার জন্য বেশ কার্যকরী। নতুন করে তাই রূপচর্চার জগতে জায়গা খুঁজে নিচ্ছে কালো জিরের তেল। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, প্রদাহনাশী, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। এই তেলের সঙ্গে নারকেল তেল, আমলকি, মেহন্দি বা মেথি দিয়ে ব্যবহার করলে সেরা ফল মিলতে পারে।
কালো জিরে তেলের উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত।
কী কী রয়েছে উপকারের তালিকায়?
চুল গজানোর গতি বৃদ্ধি করে: কালো জিরের নাইজেলন এবং থাইমোকুইনন যৌগ চুল গজানোর গতিবৃদ্ধি করতে পারে। পাশাপাশি মাথার ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়া রোধ করে।
চুলের ক্ষতি রোধ করে: কালো জিরের তেল মাথার ত্বকে মালিশ করলে চুলের ফলিকলগুলি উদ্দীপিত হয়। চুলের গোড়ার পাশাপাশি প্রতিটি চুলে পুষ্টির জোগান দেয়।
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে: শুষ্ক এবং রুক্ষ চুলের সঙ্গে যুঝতে হয় রোজ? কালো জিরের তেল ত্বকের প্রাকৃতিক তেল অর্থাৎ সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অকালে চুলে পাক ধরা রোধ করে: চুলের প্রাকৃতিক রং ধরে রাখার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে এই তেল। কালো জিরের পুষ্টি উপাদানের ফলে অকালে পেকে যাওয়ার সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করা যায় সহজে।
চুল পড়া কমায়: একাধিক খনিজ, ভিটামিন চুলের গোড়াকে মজবুত করে। চুলের ভাঙন ধরার সমস্যা কমিয়ে সামগ্রিক ভাবে চুল পড়া কমায়।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন কালো জিরের তেল?
• ৩ টেবিল চামচ কালো জিরের তেল হালকা গরম করে নিতে হবে। চুলের গোছ বুঝে তেলের পরিমাণ বাড়াবেন বা কমাবেন।
• তুলোর বল চুবিয়ে মাথায় সিঁথি কেটে কেটে তেল লাগিয়ে নিন।
• ৫-৭ মিনিট মালিশ করে তার পর শাওয়ার ক্যাপ পরে থাকুন।
• ২ ঘণ্টা রেখে হালকা সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
• চাইলে শ্যাম্পুর পর দু’ফোঁটা তেল সিরাম হিসেবে মেখে নেওয়া যেতে পারে। এতে চুলে চাকচিক্য বাড়ার পাশাপাশি রুক্ষতা কমবে, জট পড়া কমবে।