ব্রণ খোঁটাখুঁটি করে মুখে কালো দাগ হয়েছে? চোখের নীচে কালি? আলুর রস মাখলেই তো হয়। বলেন, পাড়ার কাকিমা, দিদিরা। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে আলুর কার্যকারিতাও কম নয়। অনেকেই সেই ফল পেয়েছেন। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর রাঙা আলুও কি ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা যায়? কী ভাবে?
কী উপকার রাঙা আলুর?
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর: রাঙা আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। দৈনন্দিন নানা কাজের ফলে শরীরে তৈরি হওয়া ফ্রি র্যাডিক্যাল ত্বকের কোষেরও ক্ষতি করে। সেই ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে, তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
অ্যান্থোসায়ানিন: রাঙা আলুতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এটিও এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। প্রদাহ-র্যাশ কমাতে এটি সাহায্য করে। মুখের কালছে ছোপ দূর করার জন্যও ভাল রাঙা আলু।
আরও পড়ুন:
ভিটামিন এবং খনিজ: ত্বকের দীপ্তি ধরে রাখার জন্য ভিটামিন এবং খনিজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। রাঙা আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। ভিটামিন সি ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি উপাদান, যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক টানটান এবং সুন্দর থাকে।
খাবেন না কি মাখবেনও?
পুষ্টিবিদ থেকে রূপচর্চা শিল্পীরা বলেন, যতই বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন করা হোক না কেন, শরীরের পুষ্টির অভাব হলে, তার প্রভাব চোখেমুখে পড়বেই। তাই অবশ্যই পাতে থাক রাঙা আলু। রাঙা আলু ভাতে খেতে পারেন, ঝোলও খাওয়া যায়। রাঙা আলু সেঁকে নিয়ে চাটও বানাতে পারেন।
মাখবেন কী ভাবে?
রাঙা আলু সেদ্ধ করে মেখে নিলে ক্রিমের মতো হয়ে যায়। তা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মাস্ক।
রাঙা আলু এবং নারকেলের দুধ
শুষ্ক এবং সাধারণ ত্বকের জন্য রাঙা আলু এবং নারেকেলের দুধ দিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। আধখানা রাঙা আলু সেদ্ধ করে চটকে মেখে নিন। তার সঙ্গে যোগ করুন ৩-৪টেবিল চামচ নারকেলের দুধ। কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। মাস্ক মাখতে হবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ধোয়ার পর। মিশ্রণটি মুখে মেখে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে নিন।
রাঙা আলু এবং লেবু-মধু
সেদ্ধ রাঙা আলু খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। যেন কোনও দলা না থাকে। এতে সামান্য পরিমাণে পাতিলেবুর রস এবং মধু যোগ করুন। কালচে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফেরাবে এই মাস্ক।
রাঙা আলু এবং ওট্স: রাঙা আলু সেদ্ধ করে নিন। মিক্সারে সেদ্ধ আলু, ওট্স, টক দই দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। রাঙা আলুর এই মাস্কটিও ত্বকের দীপ্তি ফেরাতে সাহায্য করবে।