প্রথম দিন সাদা শাড়ি পরেছিলেন, দ্বিতীয় দিন তাঁকে দেখা গেল নিকষ কালো পোশাকে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় দিনে আবার লাল গালিচায় হাঁটলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। আর এ বারও ভক্তদের চমকে দিলেন তাঁর সাজে!
ঐশ্বর্যাকে গৌরব পরিয়েছেন পুরনো হলিউডি কেতার কালো ভেলভেটের গাউন। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
বুধবার রাতে ( ভারতীয় সময়) সাদা বেনারসি আর সিঁথিতে সিঁদুর পরে কানে আসা ঐশ্বর্যা বৃহস্পতিবার রাতে লাল গালিচায় হাজির হলেন খাঁটি ইউরোপিয়ান গাউনে। তবে তার সঙ্গেও ছুঁয়ে থাকলেন ভারতীয় সংস্কৃতিকে! দেখা গেল ঐশ্বর্যার পোশাকে সুতোয় আঁকা গীতার শ্লোক— ‘‘কর্ম্মণেবাধিকারস্তে মা ফালেষু কদাচন। মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তে সঙ্গহস্ত্বকর্মণি।’’
এই শ্লোকের অর্থ হল, ‘‘কর্মের ফল তোমার হাতে নেই, কেবল কর্মে তোমার অধিকার আছে।"
দেখা গেল ঐশ্বর্যার পোশাকে সুতোয় আঁকা গীতার শ্লোক। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
কানে ঐশ্বর্যার দ্বিতীয় দিনের পোশাকের নকশা করেছেন ভারতীয় পোশাকে শিল্পী গৌরব গুপ্ত। যাঁর তৈরি পোশাক এ বছর কানে পড়েছেন হলিউডের অভিনেত্রী হ্যাল বেরি। তবে হ্যালের পোশাকটি ছিল আধুনিক। ঐশ্বর্যাকে গৌরব পরিয়েছেন পুরনো হলিউডি কেতার কালো ভেলভেটের গাউন। আর গীতার শ্লোকটি লেখা আছে রুপোলি রঙের বেনারসি ব্রোকেডের স্টোলে। গোটা গোটা দেবনাগরী হরফে লেখা সেই শ্লোক নজর কেড়েছে উপস্থিত বিদেশি অতিথিদেরও।
কালো গাউনে রাতের নিকষ কালো আকাশে নক্ষত্রপুঞ্জের বিভ্রম তৈরি করেছিলেন গৌরব। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
বুধবার মণীশ মালহোত্রর নকশা করা বেনারসি শাড়ি আর সিঁথিতে সিঁদুর পরে কানে এসেছিলেন ঐশ্বর্যা। বিদেশে ঐশ্বর্যার ভারতীয় সাজে মুগ্ধ হয়েছিলেন ভক্তেরা। বৃহস্পতিবারও ঐশ্বর্য চমক দিলেন সাজে। তাঁর কালো গাউনে রাতের নিকষ কালো আকাশে নক্ষত্রপুঞ্জের বিভ্রম তৈরি করেছিলেন গৌরব। ভেলভেটের গাউনে হীরের কুচির মতো রাশি রাশি তারা তৈরি করেছিলেন সিকুইনের কাজে। তবে ঐশ্বর্যের গাউনে গীতার শ্লোক আবার নতুন বার্তা দিল।
প্রতি বছরের মতোই এবছরও সাজে সবার নজর নিজের দিকে টেনে নিলেন ঐশ্বর্যা। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
এর আগে ঐশ্বর্যার সিঁদুর পরে কানের লাল গালিচায় হাঁটার অর্থ খুঁজতে গিয়ে অপরেশন সিঁদুরের যোগসূত্রও টেনে এনেছিলেন ভারতীয়েরা। বলিউড ভক্তদের কেউ কেউ আবার বলেছিলেন, অভিষেকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনার মধ্যে সিঁথিতে সিঁদুর পরে নিন্দকেদের মুখ বন্ধ করলেন ঐশ্বর্যা। বৃহস্পতিবার রাতে ঐশ্বর্যার গীতার শ্লোক লেখা স্টোল দেখে অনেকেই মনে করছেন, ঐশ্বর্যা তাঁর কাজের মাধ্যমেই যাবতীয় সমালোচনার উত্তর দেওয়ার কথা বলছেন ।