সচিন-কন্যা সারা তেন্ডুলকরের রূপে মজে তাঁর অনুরাগীরা। তারকা-সন্তানের খাদ্যাভ্যাস থেকে ত্বকচর্চার রুটিন নিয়ে কৌতূহলের সীমা নেই। যেমন ঘন চুল, তেমন উজ্জ্বল ত্বক, আর তেমনই সুন্দর গড়ন। ফ্যাশনদুনিয়ায় তাই ক্রিকেট তারকা সচিন তেন্ডুলকরের মেয়ের জনপ্রিয়তা প্রচুর। কী তাঁর রহস্য? ভক্তরা মনে করেন, নিশ্চয়ই নামী-দামি জিনিসপত্র ব্যবহার করে ত্বকচর্চা করেন তিনি অথবা খাওয়াদাওয়া বিষয়ে অবশ্যই কৃচ্ছ্রসাধন করেন।
কিন্তু মোটেও তা নয়!
ফ্যাশনদুনিয়ায় ক্রিকেট তারকা সচিনের মেয়ের জনপ্রিয়তা প্রচুর। ছবি: সংগৃহীত।
সারার নিজের মুখ থেকে শুনলে বোঝা যাবে, আর পাঁচটি সাধারণ মেয়ের মতোই জীবনযাপন তাঁর। তবে ছোটবেলায় পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম)-এর সমস্যায় ভুগতেন বলে বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয়েছে অনেক বছর। সারার মা অঞ্জলি তেন্ডুলকর যেহেতু নিজে এক জন চিকিৎসক, তিনি মেয়ের সুস্থতার জন্য ডায়েট, শরীরচর্চার নিয়ম বেঁধে দিয়েছিলেন। পিসিওএস-এর কারণে ত্বকে ব্রণের সমস্যায় ভুগতেন সারা। আর ছোটবেলায় বাইরে বেরোনোর আগে মায়ের কাছে তিনি বায়না ধরতেন, মেকআপ দিয়ে ব্রণ ঢেকে দিতে হবে। কিন্তু অঞ্জলি কখনও মেয়ের এই আবদার পূরণ করেননি। কারণ তিনি ত্বকে খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহারে পক্ষপাতী ছিলেন না। আর সেটিই হয়তো আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে পরবর্তী কালে। মেয়ে খুব বায়না ধরলে অল্প একটু কম্প্যাক্ট পাউডার মাখিয়ে দিতেন। কিন্তু অঞ্জলি সানস্ক্রিন এবং ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে বলতেন মেয়েকে।
অনেকেরই ধারণা, পাবলিক হেল্থ নিয়ে পড়াশোনা করা মেয়ে নিশ্চয়ই ডিটক্স ওয়াটার, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ইত্যাদি দিয়েই সকাল শুরু করেন। কিন্তু সারা নিজের মুখে জানান, কালো কফি না পেলে তিনি হয়তো সকাল শুরুই করবেন না। তবে একটা সময় ছিল, যখন তিনি সকালে উঠে ডিটক্স ওয়াটারে চুমুক দিতেন। তবে সারা বৈচিত্রময় সকালই বেশি পছন্দ করেন। তাই নানা সময়ে নানা রকমের রুটিন মেনে চলেন। তবে এক গ্লাস জল, বাদাম এবং কালো কফির অভ্যাসে খুব বদল আসেনি। তা ছাড়া সকাল সকাল শরীরচর্চা করতে ভালবাসেন সারা।
সারা সাধারণত সকালের দিকে শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন। ছবি: সংগৃহীত।
রাতের বেলা বাড়ি ফিরে ১০ ধাপে যে সারা ত্বকচর্চা করেন না, তা তাঁর কথায় স্পষ্ট। তিনি নিজেও ইনস্টাগ্রামে ১৫ ধাপের ত্বকচর্চার ভিডিয়ো দেখেন। কিন্তু তিনি জানেন, এ সব মেনে চলা অত্যন্ত কঠিন। সারার মতে, যাঁর যাতে সুবিধা, তাঁর তা-ই করা উচিত। ত্বকচর্চার বিষয়ে মায়ের কথা মেনেই বাহুল্য বর্জন করেছেন তিনি। তা ছাড়া তাঁর ত্বক সংবেদনশীল বলে খুব বেশি কিছু মাখতেও পারেন না। রাতের বেলা কোনও প্রকার অ্যাসিড বা রেটিনল মেখে শুলে পর দিন রোদে বেরোলে ত্বকে জ্বালা ধরে।
ফ্যাশনপ্রেমী সারার সৌন্দর্যের রহস্য ভেদ করলে তা হলে একটিই উত্তর মেলে, বাহুল্যবর্জন।