শরীর সুস্থ রাখতে হলে বাদ দিতে হবে চিনি। ঘিয়ে জবজবে লাড্ডু দেখে যতই লোভ হোক না কেন, ওজন বশে রাখতে হলে, ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে ইতি টানতে হবে লোভে, সমাজমাধ্যম জুড়ে এমনই প্রচার চলছে। চিনি কার্যত খলনায়কে পরিণত হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনদের জীবনে। অথচ বেঙ্গালুরুর অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর বলছেন উল্টোকথা। খেতে বলছেন লাড্ডু!
চিন, ঘি, বেসন, বোঁদের লাড্ডু স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না হলেও শালিনী জানাচ্ছেন তিন উপকরণে তৈরি বিশেষ লাড্ডুর গুণেই খুলতে পারে রূপ। জেল্লা ফিরতে পারে রুক্ষ ত্বকে। ঘন হতে পারে কেশ। এ আসলে কোনও জাদু নয়, পুষ্টিগুণেই সবটা সম্ভব। পুষ্টিবিদের কথায়, শ্যাম্পু, ক্লিনজ়ার, সিরাম— শুধুমাত্র প্রসাধনীর উপর সৌন্দর্য নির্ভর করে না। নেপথ্যে থাকে ভিটামিন-খনিজের ভূমিকাও।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে তিন উপকরণ দিয়ে ‘প্রোটিন এবং কোলাজেন লাড্ডু’ তৈরির পদ্ধতি শিখিয়েছেন তিনি। বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন এর গুণও। লাড্ডু তৈরিতে লাগবে তিন জিনিস অ্যালিভ বীজ, কালো বিউলির ডাল এবং কালো তিল।
কী ভাবে ত্বক-চুলের যত্ন নেবে?
• অ্যালিভ বীজে রয়েছে আয়রন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি। তিন উপকরণ, চুল ঝরা কমায়, হেয়ার ফলিকল মজবুত করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
• কালো বিউলির ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ত্বকের অন্যতম উপাদানই হল কোলাজেন। বয়স বৃদ্ধি বা দূষণের কারণে কোলাজেন কমে গেলে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে।
• কালো তিলে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ফোলেট যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। পিগমেন্টশন কমিয়ে ত্বক ঝকঝকে করে তুলতে সাহায্য করে এই খনিজগুলি। কোলাজেনের মাত্রাবৃদ্ধিতেও তা সহায়ক।
লাড্ডু তৈরির পদ্ধতি
এক কাপ অ্যালিভ বীজ বা হালিম বীজ, এক কাপ কালো বিউলির ডাল এবং আধ কাপ কালো তিল গরম কড়াইয়ে রোস্ট করে নিন বা নাড়াচাড়া করে নিন। মিক্সারে তিন উপকরণের সঙ্গে গুড়ও গুঁড়ো করে নিন। গুড় তিন উপকরণ দিয়ে লাড্ডু তৈরিতে সাহায্য করবে। মাঝারি আকারের লাড্ডু বানিয়ে কাচের বয়ামে রেখে দিন। রোজ একটা করে খেলেই রূপ খুলবে, শরীরও ভাল থাকবে।