Advertisement
E-Paper

৭ দিনে চুল পড়া বন্ধ হবে, কালো হবে পাকা চুল, কোন দিন কী ভাবে করবেন কেশচর্চা? রইল সাত পদ্ধতি

পুজোয় ঘন, লম্বা, জেল্লাদার চুল চাইলে সাত দিন সময় দিতে হবে। ওই সাত দিনে কেশচর্চার সাত রকম পদ্ধতি নিয়ম মেনে করতে পারলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৯
The Seven Days hair growth challenge for long, strong and healthy hair

৭ দিনে ঝলমল করবে চুল, ধাপে ধাপে শিখুন কেশচর্চার পদ্ধতি। ছবি: এআই।

পুজোর জন্য চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করেছেন নিশ্চয়ই। নানা রকম কেশসজ্জা করার ইচ্ছাও আছে। তার জন্য হেয়ার কাটও করাচ্ছেন। তবে চুল যদি নিষ্প্রাণ ও জেল্লাহীন হয়, তা হলে সব চেষ্টাই মাটি হবে। কেশসজ্জা যতই সুন্দর হোক না কেন, রুক্ষ চুলে তা মানাবে না। চুল উঠে পাতলা হয়ে গেলেও দেখতে ভাল লাগবে না। তাই হাতে সময় থাকতে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। পুজোয় ঘন, লম্বা, জেল্লাদার চুল চাইলে সাত দিন সময় দিতে হবে। ওই সাত দিনে কেশচর্চার সাত রকম পদ্ধতি নিয়ম মেনে করতে পারলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

প্রথম দিন অ্যালো ভেরার মাস্ক

ভিটামিন ই-তে ভরপুর অ্যালো ভেরাতে রয়েছে ‘অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল’ উপাদান। এতে থাকা থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান ও ভিটামিন-ই খুসকি দূর করতে, স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও চুলের বৃদ্ধির বিশেষ সহায়ক। প্রথম দিন অ্যালো ভেরা জেল মাথার ত্বক ও চুলে ভাল করে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

দ্বিতীয় দিন কাঁচা পেঁয়াজের রস

নতুন চুল গজানো কিংবা মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধ করার ঘরোয়া টোটকা হল পেঁয়াজের রস। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, ফলে পেঁয়াজের রস মাখলে নতুন চুল গজায়। চুলের ঘনত্ব বাড়ে। দ্বিতীয় দিন পেঁয়াজের রস ভাল করে মাথায় মেখে আধ ঘণ্টার মতো রেখে ঈষদুষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন।

তৃতীয় দিন নারকেল তেলেই হবে চুল তাজা

তৃতীয় দিন আর মাস্ক নয়, নারকেল তেল হালকা গরম করে সেই তেল ভাল করে চুলে মালিশ করুন। সারা রাত রাখতে পারলে ভাল, না হলে ঘণ্টা দুয়েক রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

চতুর্থ দিন চালের জল

অল্প চাল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এ বার ধোয়া চালের মধ্যে আরও খানিকটা জল ঢেলে নিন। ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এ বার হাত দিয়ে চাল চটকে নিন। জলটা আরও ঘোলা হয়ে যাবে। এ বার পাত্রে জলটা ছেঁকে নিন। চাল ধোয়া জল তৈরি। চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার মাখার পর শেষ বার চুল ধুতে ব্যবহার করুন এই জল। তাতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। জলটা চুলে ঢেলে ধীরে ধীরে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাসাজ করুন। তার পর মিনিট পাঁচেক রেখে পরিষ্কার জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।

পঞ্চম দিনে আমলকি-কারিপাতার তেলের মালিশ

এই তেল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। বানিয়ে নিন বাড়িতেই। এক কাপের মতো আমলকি ও তাতে আধ কাপের মতো কারিপাতা দিয়ে ভাল করে ফোটাতে হবে। এই তেল নিয়ম করে মাখলে চুলের পুষ্টিও হবে, বৃদ্ধিও।

ষষ্ঠ দিনে গ্রিন-টি ম্যাজিক

চুলে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসৃত হয়। যা প্রাকৃতিক ভবে চুলকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগায়। এই আর্দ্রতা ধরে রাখবে গ্রিন-টি। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে, এতে চুলের ঘনত্ব বাড়বে।

সপ্তম দিনে জবাফুলের মাস্ক

চুল যেমন ঝরছে, তেমনই পাকা চুলের সংখ্যাও বাড়ছে। কানের পাশে, সিঁথির দু’পাশে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে পাকা চুল। তা ঢাকতে যথেচ্ছ ডাই ব্যবহার করে চুলের আরও ক্ষতি হচ্ছে। তার চেয়ে জবাফুলের মাস্ক ব্যবহার করলে চুল পড়া, খুশকির সমস্যা যেমন দূর হবে, তেমনই পাকা চুল কালো হবে অচিরেই। ২-৩টি জবা ফুল ফুটিয়ে নিতে হবে। যে রস বেরোবে তার সঙ্গে নারকেলের দুধ মিশিয়ে ভাল করে চুলে মালিশ করুন। ২০ মিনিট রেখে ভেষজ কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

Hair Growth Tips Hair Care Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy