আমন্ড অয়েল, রোজ়মেরি অয়েলের এত বাড়বাড়ন্ত যখন ছিল না, তখন চুলের পুষ্টির জন্য নারকেল তেল বা হেঁশেলের সর্ষের তেলই ব্যবহার করা হত। তাতেই এক ঢাল কোমর ছাপানো চুল হত। এখনকার প্রজন্ম মাথায় সর্ষের তেল মাখার কথা শুনলেই নাক সিঁটকাবেন। আসলে, সর্ষের তেল সরাসরি মাথায় মাখলে চুল চটচটে হতে পারে। চুলের পরিচর্যায় সর্ষের তেল ব্যবহারের নিয়ম আছে। সে নিয়ম মেনে চললে চুলের পুষ্টি তো হবেই, খুব তাড়াতাড়ি চুল বাড়বে। রুক্ষ ও জট পড়া চুল অল্প দিনেই নরম ও জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
চুলের জন্য কেন ভাল সর্ষের তেল?
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, কে, ই সমৃদ্ধ সর্ষের তেল চুল পড়া রোধ করে। সর্ষের তেলে থাকা জ়িঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম এবংওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুল বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। মাথার তালুতে সর্ষের তেল মালিশ করলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পেয়ে চুলের গোড়া মজবুত হয়। খুশকির সমস্যাও দূর করে।
সর্ষের তেলে কী কী মিশিয়ে ব্যবহার করবেন?
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। সর্ষের তেলের সঙ্গে সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথায় মালিশ করুন। আধ ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে নিন।
আরও পড়ুন:
মেথি বাটা
মেথির অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধ করতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করে ও খুশকির সমস্যা দূর করে। দু’চামচ সর্ষের তেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি বাটা মিশিয়ে চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। পাকা চুলের সমস্যাও দূর হবে।
সর্ষের তেলে মেশান কালোজিরে
দু’চামচ সর্ষের তেলে আধ চামচের মতো কালোজিরে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ভাল করে ফুটে গেলে সেই তেল মাথায় মাখুন। এক ঘণ্টা রেখে হালকা ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে। চুলের ঘনত্ব বাড়বে এবং চুল কালো হবে।
সর্ষের তেল ও দইয়ের প্যাক
২ চামচ সর্ষের তেল, ৩-৪ চামচ টক দই, ১ চামচ মধু ভাল ভাবে মিশিয়ে চুলে মালিশ করুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এই প্যাক চুল নরম ও মসৃণ রাখবে।
সর্ষের তেল ও অ্যালো ভেরার প্যাক
২ চামচ সর্ষের তেল, ৩ চামচ অ্যালো ভেরা জেল ভাল ভাবে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। ৪৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ চুলে প্রাণ ফেরাবে এই হেয়ার প্যাক।