বয়স ধরে রাখার জন্য চাই ‘ননঅ্যালকোহলিক মুসকাডাইন ওয়াইন’। ছবি: সংগৃহীত।
‘ওয়াইন’ যত পুরনো হয়, তার দর তত বাড়ে। কিন্তু ত্বকের বয়স বাড়লে তা দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। অনেকেই জানেন, কালো আঙুরের রস দিয়ে তৈরি রেড ওয়াইন হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এই ওয়াইনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ এতটাই বেশি যে, তা অনেক ক্ষেত্রে ত্বকে বয়সের ছাপজনিত নানা সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বয়স ধরে রাখতে যে কোনও ওয়াইন খেলেই হবে না। খেতে হবে ‘ননঅ্যালকোহলিক মুসকাডাইন ওয়াইন’।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন, যে সব মহিলা প্রতি দিন পরিমিত পরিমাণে এই ‘ননঅ্যালকোহলিক মুসকাডাইন ওয়াইন’ খান, তাঁদের ত্বকে আর্দ্রতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বেশি। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য রসায়নের গবেষক লিউই ঘু বলেন, “ওয়াইনে থাকা পলিফেনল ত্বকের উপর কেমন প্রভাব ফেলে, তা দেখার জন্যই আমরা এই গবেষণায় অ্যালকোহলমুক্ত ওয়াইন ব্যবহার করেছিলাম।” অনেকেই হয়তো জানেন, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার প্রধান এবং প্রথম লক্ষণ হল ‘ইলাস্টিসিটি’ বা স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হওয়া। পাশাপাশি, ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের জোগানও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করা ৪০ থেকে ৬৭ বছর বয়সি ১৭ জন মহিলার ত্বকের উপর ‘ননঅ্যালকোহলিক’ ওয়াইনের প্রভাব কেমন, তা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন বিজ্ঞানীরা।
তবে বিশেষ ধরনের এই ‘মুসকাডাইন’ আঙুরের রস দিয়ে তৈরি এই ওয়াইন শুধু যে ত্বকের জন্য ভাল, এমন নয়। এই ওয়াইনে থাকা ‘অ্যান্থোকাইনিন্স’, ‘কয়েরসেটিন’ এবং ‘ইলেজিক অ্যাসিড’ ত্বকে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সাধারণ অ্যালকোহলযুক্ত ওয়াইনে ‘পলিফেনল’ নামক যৌগটি থাকে না। তাই তা ত্বকের ক্ষেত্রে যে খুব কাজ করবে, এমনটা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy