চুল ভাল রাখতে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার— সব বদলে ফেলেছেন। রাসায়নিক দেওয়া নয়, ভেষজ প্রসাধনী ব্যবহার করছেন, তবুও চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কিছুতেই বশে আনতে পারছেন না? চুল আঁচড়ালেই মুঠো মুঠো উঠে আসছে। সমস্যা কিন্তু লুকিয়ে থাকতে পারে চিরুনিতেই।
আগে গরু বা মোষের শিং দিয়ে তৈরি চিরুনি ব্যবহার করার চল ছিল। তবে কম দাম , সহজলভ্যতা এবং ব্যবহারের সুবিধার জন্য এখন ঘরে ঘরে প্লাস্টিকের চিরুনিই ব্যবহার করা হয় বেশি। কিন্তু বাজারে হরেক রকম কাঠের চিরুনিও কিনতে পাওয়া যায়। তবে নিমকাঠের চিরুনি সব দিক থেকে নিরাপদ।
কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে কী উপকার হবে?
চুল পড়া রুখতে: চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু হল খুশকি। বর্ষাকালে এই সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। খুশকি বা মৃত কোষ— সবই জমে মাথার তালুতে। প্লাস্টিক বা প্রাণীর শিং দিয়ে তৈরি চিরুনি ব্যবহার করলে মাথা আঁচড়ানোর সময়ে মৃত কোষের সঙ্গে প্রচুর চুলও উঠে আসতে থাকে। কিন্তু নিমকাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।
জট পড়ার সমস্যা বাড়ে: জট পড়া চুলে চিরুনি চালালে চুল ছিঁড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। বিশেষ করে প্লাস্টিক বা ধাতুর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে যে স্থিরতড়িৎ উৎপন্ন হয়, তাতে চুল ছেঁড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এমন সমস্যা হয় না।
নতুন চুল গজায়: কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয়। নিমকাঠ অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল। তাই স্ক্যাল্পে ছত্রাকঘটিত কোনও সংক্রমণ ঘটতে পারে না। এ ছাড়া মাথার ত্বকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিমকাঠের চিরুনি।