বাগানে কারিপাতা গাছ আছে। কিন্তু হাত বাড়িয়ে যতটুকু নাগাল পাওয়া যায়, সে পর্যন্ত একটি পাতাও অবশিষ্ট নেই। সকাল থেকে আশপাশের লোকেরা যে যেমন পারেন ডাল থেকে ছিঁড়ে নিয়ে চলে যান। কেউ ডাল, ঝোল বা সম্বরে দেবেন। আবার, কেউ নিয়ে যান কাঁচা চিবিয়ে খাবেন বলে। ডায়াবিটিস, রক্তে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই ভেষজ। কারিপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি। এ ছাড়া রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ক্যালশিয়াম এবং আয়রনের মতো বেশ কিছু খনিজ। ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণেও সহায়তা করে এগুলি।
আবার, নারকেল তেলে কারিপাতা ফুটিয়ে মাথায় মাখার রেওয়াজ পুরনো। গোছা গোছা চুল উঠে যাচ্ছে বলেও এক দল কারিপাতা নিতে আসেন। শুধু কি চুল পড়া? খুশকি, মাথার ত্বকের সংক্রমণ রুখতে কিংবা চুলের গোড়া মজবুত করতেও সাহায্য করে এই কারিপাতা। তবে শুধু তেলে ফুটিয়ে মাখলে হবে না।
আরও পড়ুন:
সমস্যা অনুযায়ী কে কী ভাবে কারিপাতা মাখবেন জেনে নিন:
১) কারিপাতা বেটে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন টক দই। আধ ঘণ্টা মাথায় মেখে রেখে দিন এই প্যাক। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া মজবুত হবে, মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
২) মাথায় প্রচণ্ড খুশকি হচ্ছে? কারিপাতা বেটে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন অ্যালো ভেরা জেল। আধ ঘণ্টা মাথায় মেখে রাখুন এই প্যাক। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৩) কারিপাতা বাটার সঙ্গে একটি ডিম এবং এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মাথায় মেখে ফেলুন। আধ ঘণ্টা মেখে রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল ঝরা বন্ধ হবে। নিষ্প্রাণ চুল ঝলমলিয়ে উঠবে।