শরীরচর্চা করার পর দেহের উত্তাপ বেড়ে যায়। তাই বলে শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান? নৈব নৈব চ!
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসচেতনেরা আবার দু’টি দলে বিভক্ত। সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলে প্রায়শই দেখা যায়, এক দল ফিটনেস-প্রভাবী শরীরচর্চা করার পর বরফগলা জলে ডুব দিচ্ছেন। আবার, অন্য দলটি পেশির ব্যথা নিরাময়ে স্নান করছেন ঈষদুষ্ণ জলে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ছাড়া শরীরচর্চা করার পর স্নান করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ক্লান্তি, ব্যথা-বেদনা নিরাময়ের জন্য। এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা এবং গরম, দু’ধরনের জলেই স্নান করার উপকারিতা রয়েছে। তবে সকলের শরীরের জন্য সব উপযুক্ত নয়।
আরও পড়ুন:
ঠান্ডা জলে স্নান করলে কী উপকার হবে?
১) ঠান্ডা জলে স্নান করলে দেহের পেশি এবং টিস্যুতে রক্ত চলাচলের গতি খানিকটা শ্লথ হয়ে যায়। ফলে প্রদাহজনিত ব্যথা-বেদনা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) ঠান্ডা জলে স্নান করলে স্নায়ু অবশ হয়ে যায়। ফলে ব্যথা-বেদনার অনুভূতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ২০২৩ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্তরা এই কারণেই বরফগলা জলে স্নান করেন।
৩) ঠান্ডা জল গায়ে পড়তেই যে ঝটকা লাগে, তাতে এন্ডরফিন হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এই এন্ডরফিন হল ‘হ্যাপি’ হরমোন। মনমেজাজ ভাল রাখতে এই হরমোনের ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে কী উপকার হবে?
১) শরীরচর্চা করার পর ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে আবার রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি শিথিল হয়। নমনীয়তা ফিরে আসে।
২) অস্থিসন্ধির ব্যথা-বেদনায় আরাম মেলে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে। লিগামেন্টে চোট-আঘাত লাগলেও উষ্ণ জলে স্নান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৩) শারীরিক, মানসিক ধকল দূর করতে সাহায্য করে ঈষদুষ্ণ জল। অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করলে অনেক সময়ে ঘুম আসতে চায় না। ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে এই ধরনের সমস্যা বশে থাকে।