উজ্জ্বল ত্বক, নরম ত্বক, মসৃণ ত্বক কার না চাই? কিন্তু চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে অনেক গুলো ধাপ থাকে। ত্বকের ক্ষেত্রে ওই সমস্ত চাহিদা মেটানোর জন্য দরকার হয় যত্ন নেওয়ার। দরকার কিছুটা বাড়তি সময় দেওয়ার। সামান্য পরিশ্রমও। কিন্তু সেই সময়টুকুও হয় না অনেকেরই।
প্রথমে ফেসপ্যাকের উপকরণ জোগাড় করা, তার পরে তা পরিমাণ বুঝে মেশানো। তার পরে সেটি মুখে লাগিয়ে অন্তত মিনিট ২০ রেখে দেওয়া। ইদানীং বাজার চলতি বহু ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। তা জলে গুলে বা টিউব থেকে বার করে মুখে লাগানোই যায়। কিন্তু সেখানে উপকরণ জোগাড়ের ঝক্কি না থাকলেও ১৫-২০ মিনিট ব্যয় করতেই হয়। তবে একটি পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে ওই ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে ১০-১৫ মিনিট বাঁচানো যাবে।
ত্বক পরিচর্যা শিল্পীরা ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যেই মুখে বরফ ঘষতে বলেন। অনেক সময় সেই বরফ জমানোর সময় তাতে বিটের রস বা গোলাপ জল বা শসার রস মেশাতে বলেন। যা প্রাকৃতিক টোনারের কাজ করে। তবে এর বাইরেও তিন রকম বরফ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে এবং ত্বককে নরম বানাতে সাহায্য করতে পারে।
১। ভাতের ফ্যান
ভাত হওয়ার পর যে ফ্যান ঝড়িয়ে ফেলে দেন, সেটি একটি পাত্রে ভরে রাখুন। ঠান্ডা হলে বরফের ট্রে তে ঢেলে জমতে দিন। নিয়মিত ওই বরফের কিউব যদি পাঁচ মিনিট ধরে মুখে বোলাতে পারেন, তবে ত্বকের রন্ধ্রপথের খোলামুখ বন্ধ হবে, কালচে ছোপ দূর হবে। ত্বকের রংও হবে উজ্জ্বল।
২। দুধ
গরুর দুধ বা ফ্যাটযুক্ত প্যাকেটের দুধ বরফের ট্রেতে ঢেলে ঘণ্টা চারেক জমতে দিন। পাঁচ মিনিট ওই বরফ মুখে ঘষলেই ত্বকের রঙে ঔজ্জ্বল্য দেখতে পাবেন। এছাড়াও ত্বক হবে নরম। রোদের পোড়া ভাবও দূর হবে।
৩। হলুদ
এক কাপ জলে ১ চা চামচ হলুদ এবং ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ভাল ভাবে গুলে নিন। তার পরে তা বরফের ট্রে তে ঢেলে জমতে দিন অন্তত ঘণ্টা চারেক। এই বরফের কিউব নিয়মিত মুখের ত্বকে ঘষলে বলিরেখা দূর হবে। বয়সের ছাপ সহজে পড়বে না। ত্বক হবে ঝকঝকে। এমনকি, ব্রণ-র্যাশের সমস্যাও কমবে।