Advertisement
E-Paper

গোছা গোছা চুল ঝরছে? স্নানের পর কয়েকটি কাজ বন্ধ করে দেখুন, ফল মিলবে হাতেনাতে

চুল ওঠার নানা কারণ থাকতে পারে। যদি যত্নের অভাবে চুল ঝরার সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে স্নানের সময় বা পরে কয়েকটি বিষয় এড়িয়ে চললে উপকার মিলতে পারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৩১
গোছা গোছা চুল উঠছে? স্নানের পর কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলুন।

গোছা গোছা চুল উঠছে? স্নানের পর কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলুন। ছবি:ফ্রিপিক।

চিরুনি বোলাচ্ছেন আর গোছা গোছা চুল উঠছে? মাথায় হাত দিচ্ছেন, আঙুলে আলগা চুল উঠে আসছে। আর শ্যাম্পু করলে তো কথাই নেই!

চুল ওঠার নানা কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে যত্নের অভাব, চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত প্রসাধনী বেছে নেওয়া, জলে কোনও খনিজের আধিক্য, হরমোনের ভারসাম্যে বিঘ্ন, অসুখ এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।

তবে যদি যত্নের অভাবে চুল ঝরার সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে স্নানের সময় বা পরে কয়েকটি বিষয় এড়িয়ে চললে উপকার মিলতে পারে হাতেনাতে।

১। গরম জলে নয়, স্নান করতে হবে ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জলে বা শীতের দিন হলে ঈষদুষ্ণ জলে। গরম জল চুলের জন্য মোটেও ভাল নয়। তবে স্নানের আগে ঈষদুষ্ণ নারকেল তেল হালকা হাতে মালিশ করে নিতে পারেন।

২। অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বাদ দেওয়াই ভাল। বদলে মৃদু শ্যাম্পু বেছে নিন। অপরিচ্ছন্ন মাথার ত্বক যেমন চুল ওঠার কারণ হতে পারে, তেমনই প্রসাধনীতে থাকা রাসানয়িকও কেশের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। সে কারণে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে কন্ডিশনার মাখুন। কন্ডিশনার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৩। ভিজে চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে মোছেন? এতেও কিন্তু চুলের ক্ষতি হতে পারে। ঘষাঘষিতে চুল ঝলে পড়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত, চুলের গোড়া আলগা থাকলে এই সমস্যা আরও বাড়বে।

৪। ভিজে চুল আঁচড়ে ফেলেন, বেঁধেও নেন? চুল ভিজে থাকাকালীন আঁচড়ালে চুল ঝরতে পারে বেশি। আর ভিজে চুল শক্ত করে বাঁধা একেবারেই ঠিক নয়। এতে ভিজে চুল শুকোনোর সুযোগ থাকে না। মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভবনাও বাড়ে।

৫। স্নানের পর হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকোনোর অভ্যাস রয়েছে? এটিও কিন্তু চুল ঝরার অন্যতম কারণ হতে পারে? ভিজে চুলে গরম হাওয়া লাগলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে, ভেঙে গিয়ে ঝরতে পারে। বদলে খোলা হাওয়ায় বা পাখার হাওয়ায় চুল শুকোনো ভাল।

৬। রং করা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্য কেশসজ্জা করেন। যথাসম্ভব সেই অভ্যাসও বাদ দেওয়া দরকার। রাসায়নিক এবং অতিরিক্ত তাপ, দুই-ই চুলের জন্য ক্ষতিকর। হেয়ার স্ট্রেটনার, কার্লার ইত্যাদি যন্ত্র ঘন ঘন ব্যবহার করলে চুলের প্রোটিন ভেঙে যেতে পারে।

৭। চুল আঁচড়ানোর সময় সরু নয়, মোটা দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন। প্রথমে মোটা দাঁড়ার চিরুনিতে জট ছাড়িয়ে একেবারে শেষে সরু দাঁড়ার চিরুনিতে চুল আঁচড়ান। এতে জট ছাড়ানোর সময় চুলে কম টান প়ড়বে, চুল কম ঝরবে।

আর কী কী করবেন?

স্ক্যাল্প মাসাজার: শ্যাম্পু করার সময় ব্যবহার করতে পারেন ‘স্ক্যাল্প ব্রাশ’ বা ‘স্ক্যাল্প মাসাজার’। জিনিসটি দেখতে গোলাকার। খুব নরম দাঁত থাকে। নরম সিলিকন বা নমনীয় প্লাস্টিকের তৈরি ব্রিসল্‌স-যুক্ত এই ব্রাশটি মাথার ত্বক থেকে নোংরা, ধুলোময়লা, খুশকি বা মৃতকোষ দূর করতে সাহায্য করে। ব্রাশের উপর শ্যাম্পু দিয়ে ভিজে চুলে হালকা হাতে অনেকটা চিরুনির মতোই ব্রাশটি চালাতে হয়। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এতে। চুলের গোড়া মজবুত হয়।

জল: এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দিনে ২-৩ লিটার জল খাওয়া দরকার। শুধু জলের বদলে সব্জি বা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি স্যুপ, স্বাস্থ্যকর পানীয় খাওয়া যেতে পারে। জল শুধু শরীরের জন্য জরুরি নয়, চুলেও আর্দ্রতা জোগায়।

সঠিক খাবার: ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেলে, চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হবে না। চুল ঝরা রুখতে ভিটামিন এবং খনিজও কিন্তু জরুরি।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। চুল ঝরার সমস্যা এর পরেও বন্ধ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

Hair Loss Hair Care Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy