Advertisement
E-Paper

দিনের শেষে ক্লান্তি কাটুক ‘গোলাপ-স্নানে’ অথবা তাতে থাকুক দুধের ছোঁয়া

দিনের শেষে সময় নিয়ে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান এক নিমেষে ক্লান্তি দূর করে দেয়। সেই স্নানের মাধ্যমে কী ভাবে ত্বকের যত্নও নিতে পারেন?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ১০:৪৬
‘গোলাপ-স্নানে’ হয়ে উঠুন তরতাজা।

‘গোলাপ-স্নানে’ হয়ে উঠুন তরতাজা। ছবি: ফ্রি পিক।

গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো জলে সুন্দরী নায়িকার স্নানদৃশ্য দেখে কখনও কি এমন ফুলেল স্নানের ইচ্ছা হয়েছে? তা হলে, বরং শখ করে বানানো স্নানঘরের বাথটবেও এ ভাবেই স্নান সেরে নিতে পারেন। দিনভরের ক্লান্তি নিমেষে কমে যায় গরম জলে দীর্ঘ ক্ষণ স্নান করলে। কিন্তু প্রতি দিন সেই উপায় থাকে না। কর্মব্যস্ত দিনে এত সময় কই? তবে ছুটির দিনে বা কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ফিরে এমন ভাবে স্নান করলে, শরীর ও মন দুই-ই তরতাজা হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে ঔজ্জ্বল্য আসবে ত্বকেও।

গোলাপ জলে স্নানের নিয়ম

গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে জলে দিতে হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হল সেই জলের তাপমাত্রা। একেবারে ঠান্ডাও নয়, আবার খুব গরমও নয়। জল হতে হবে ঈষদুষ্ণ। না হলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ভয় থাকবে।

কেন হালকা গরম জলেই গোলাপ-স্নান?

গোলাপে শুধু সুগন্ধই নেই, রয়েছে নানা গুণও। গরম জলে পাপড়ির গন্ধ ও এতে থাকা প্রাকৃতিক তেল যথাযথ ভাবে মিশে যেতে পারে। গরম জলে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে বেশ কিছু ক্ষণ রেখে সেই জলে স্নান করতে হবে। বাথটবে স্নান করলে অন্তত ২০ মিনিট সেই জলে গা-ভেজালে ত্বকে গোলাপের নির্যাস ভাল ভাবে প্রবেশ করবে। পাপড়িতে থাকা প্রাকৃতিক তেলে মুখ ও শরীরে ঔজ্জ্বল্য আসবে।

ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, গোলাপে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বক মসৃণ রাখতে ও ঔজ্জল্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তা। তবে স্নানের জলে পাপাড়ির পাশাপাশি কয়েকফোঁটা ‘রোজ় এসেনশিয়াল অয়েল’ মিশিয়ে দিলে গন্ধ ও কাজ, দুই-ই ভাল হবে।

তবে যদি স্নানঘরের বাথটবে গা ভেজানোর আগে, খনিজ সমৃদ্ধ ইপসম সল্টের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজ় এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে তা দিয়ে সারা শরীর এক্সেফোলিয়েট করে নেওয়া যায়, তা হলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে, কালচে ভাবও চলে যাবে।

দুধ-স্নান

স্নানের অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে চাইলে বাথটাবে দু’কাপ কাঁচা দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। দুধের সঙ্গে গোলাপের পাপড়ি, এসেনশিয়াল অয়েলের মিশেলে স্নানের অভিজ্ঞতা অন্য মাত্রা পাবে। বাথটব না থাকলেও এ স্নানের ভাললাগা উপভোগ করা যায়। সে ক্ষেত্রে ছোট গামলা বা বালতিতে ঈষদুষ্ণ জল নিয়ে দুধ ও গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে নিতে হবে। সেই জলে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে স্নান করলেও ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি পাবে।

অনেকের কোনও কোনও এসেনশিয়াল অয়েলে অ্যালার্জি থাকতে পারে। তাই ব্যাবহারের আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়া ভাল।

Beauty Tips Bathing Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy