পায়ের রোম তোলার কিছু দিন পর থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে থাকে। খেয়াল করে দেখবেন, রোম তোলার পর পা খুবই নরম ও মসৃণ দেখায়। কিন্তু কিছু দিন পর থেকে নতুন রোম গজিয়ে ওঠার আগে সারা পায়ে ছিট ছিট দাগ দেখা দেয়। মনে হয় কাঁটার মতো ফুটছে। সেখানে চুলকানিও হয়। কমবেশি অনেক মহিলাই এই সমস্যার মুখোমুখি হন। তখন পোশাক পরতেও সমস্যা হয়। একেই বলে ‘স্ট্রবেরি লেগ’ অর্থাৎ সারা পায়ের রোমকূপ ফুলে ওঠে স্ট্রবেরির মতো দাগ দেখা দিতে থাকে।
‘স্ট্রবেরি লেগ’ আসলে ‘ওপেন পোরস’ বা ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা। ত্বকের উপরের ভাগ জুড়ে থাকে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র। এগুলি দিয়ে ঘাম আর অতিরক্ত তেল দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। খালি চোখে সেই ছিদ্র দেখাও যায় না। কিন্তু নানা কারণে এই ছিদ্রগুলি বড় হয়ে গেলেই তখন ত্বকের উপর তা ফুটে ওঠে। দেখে মনে হয়, ত্বকে যেন কাঁটা ফুটছে। এই ছিদ্রগুলির মুখ বড় হয়ে গেলে তার মধ্যেও আবার ধুলো-ময়লা জমে ত্বকের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়।
কেন হয় এই সমস্যা?
সঠিক পদ্ধতিতে পায়ের রোম না তুললে, রেজ়ার ভুল পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে তখন ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলি বড় হতে থাকে।
আরও পড়ুন:
প্রচণ্ড রোদ বা ধুলোয় সঠিক পরিচর্যার অভাবে ত্বকের ছিদ্রগুলি বড় ও উন্মুক্ত হয়ে যায়।
হাত বা মুখের ত্বকের যতটা যত্ন নেওয়া হয়, পায়ের ত্বকের ততটাও হয় না। ফলে দুটি পায়ের ত্বক অবহেলিতও থেকে যায়। সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ারের অভাব, ঠিক মতো তেল মালিশ না করা, সময় মতো স্ক্রাবিং না করার কারণে ত্বকের ছিদ্রগুলি বড় হয়ে র্যাশের সমস্যাও দেখা দেয়।
সারবে কী করে?
১) ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলি বন্ধ করতে ভরসা রাখতে পারেন অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের উপর। ভিনিগারে সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাতেই স্ট্রবেরি লেগের সমস্যা দূর হবে।
২) নিয়মিত ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজ়িং এবং টোনিং করুন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা সপ্তাহে দু’বার স্ক্রাব করুন। চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন। এতে ত্বকের ছিদ্র থেকে ধুলোময়লা, মৃত কোষ বেরিয়ে যাবে।
৩) টি ট্রি অয়েলও খুব উপযোগী হতে পারে। নারকেল তেল বা অলিভ তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ভাল করে দুই পায়ে মালিশ করুন। সমস্যা মিটবে।
৪) সমপরিমাণ গোলাপ জল এবং শসার রস মিশিয়ে নিন। পায়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।