Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Menstrual Blood Facial

ঋতুস্রাব দিয়েই ফেশিয়াল! ব্রণ কমাতে রূপচর্চার এই চল আদৌ কি স্বাস্থ্যকর?

একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী ঋতুস্রাব দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করছেন। তবে রূপচর্চার এই পন্থা আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে অনেকের মনে জেগেছে।

রক্তে মাখা মুখ!

রক্তে মাখা মুখ! ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৫৪
Share: Save:

সমাজমাধ্যম দেখে রূপচর্চার নানা টোটকা আমরা বাড়িতে করে থাকি। তবে সম্প্রতি নেটমাধ্যমে রূপচর্চার নামে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, তা দেখে অনেকেই নিন্দায় সরব হচ্ছেন।

একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী ঋতুস্রাব দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করছেন। সেই মহিলার বক্তব্য, ঋতুস্রাবে কোষগুলি থাকে, তা গর্ভস্থ শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয়। আর এই কোষগুলি আমাদের ত্বকের পক্ষেও বেশ উপকারী। ত্বকের নানা সমস্যার দাওয়াই এটি।

তবে রূপচর্চার এই পন্থা আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে অনেকের মনে জেগেছে প্রশ্ন। এক চিকিৎসক সেই ভিডিয়ো দেখে বলেছেন, ‘‘হালে ফেশিয়ালের জন্য মাসিকের রক্ত ব্যবহার করার চল হয়েছে। তরুণীরা মনে করছেন, ঋতুস্রাব ​​তাঁদের ত্বকের ব্রণর সমস্যা দূর করবে এবং ত্বক পরিষ্কার করে ঔজ্জ্বল্য বাড়াবে। কিন্তু সব তথ্যের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং ঋতুস্রাব মৃতকোষে পরিপূর্ণ থাকে, যার কারণে এই রক্ত মুখে মাখলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অনেকে এই পদ্ধতিকে প্লেটলেট রিচ প্লাজ়মা (পিআরপি) পদ্ধতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। তবে পিআরপি পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। এই পদ্ধতি ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ করে, ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে।’’

মাসিকের রক্তে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু এবং যোনির স্রাব মিলিত থাকে। অনেক মহিলার যোনিতে এবং যোনিমুখে সংক্রমণ থাকে। অনেকের আবার এন্ডোমেট্রাইটিসও থাকে। তাঁদের ঋতুস্রাবে উপস্থিত থাকে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক। এই রক্ত মুখে মাখলে ব্রণর সমস্যা বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। তাই এই রক্ত মুখে মাখা কখনওই স্বাস্থ্যকর নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

facial menstrual cycle menstrual
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE