তারকা থেকে অভিনেত্রী— রূপচর্চায় পছন্দের তালিকায় থাকে ঘরোয়া এবং ভেষজ উপাদান। সেই তালিকায় ঠাঁই পায় অ্যালো ভেরাও। গাছটির ভারতীয় নাম ঘৃতকুমারী। তার পুরু পাতার মধ্যে থাকে সাদা পিচ্ছিল এক পদার্থ। তাতেই রয়েছে সমস্ত গুণাগুণ। ত্বক হোক বা চুল— সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যবহার হচ্ছে অ্যালো ভেরা। কিন্তু পুজোর মুখে প্রথম বার ব্যবহার করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে কি?
অ্যালো ভেরার গুণাগুণ পেতে অনেকেই সরাসরি গাছের শাঁস বার করে তা মুখে লাগিয়ে নেন। আর তা থেকেই কারও কারও সমস্যা হতে পারে।
লাল হয়ে চুলকানো: অ্যালো ভেরায় প্রদাহনাশক উপাদান থাকে। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে। তবে শাঁস সরাসরি মুখে লাগালে চুলকানি, জ্বালা হতে পারে। মুখ লাল হয়ে যেতে পারে।
অ্যালার্জি: ভেষজ উপাদান সকলের ত্বকেই যে সমান ভাবে কাজ করে, তা নয়। এর থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে র্যাশ দেখা দেবে, যে স্থানে লাগানো হয়েছে সেখানে।
স্পর্শকাতর ত্বক: কারও ত্বকের ধরন হয় স্পর্শকাতর। সামান্য কিছুতেই প্রদাহ তৈরি হয়। এমন ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রেও হুট করে অ্যালো ভেরা মেখে ফেলা ঠিক নয়।
তা হলে কি মাখবেন না?
· আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ উপযোগী অ্যালো ভেরা। এতে থাকে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। তা ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বককে পুনরায় সজীব করতেও সহায়তা করে অ্যালো ভেরা।
· রোদের তাপে মুখে জ্বালা করলে অ্যালো ভেরা ত্বককে আরাম দেয়। ত্বককে ঠান্ডা করে।
· যেহেতু অ্যালো ভেরা ত্বকের জন্য কোমল ও আর্দ্রতায় পরিপূর্ণ, তাই মেকআপ তোলার সময় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি তুলোর টুকরো অ্যালো ভেরার জেলে মিশিয়ে মুছে নিলেই কেল্লাফতে।
উপকার কিছু কম নেই। তবে অনেক সময় সরাসরি গাছ থেকে পিচ্ছিল পদার্থ বার করে মুখে মাখলে সমস্যা হয়। কিন্তু বাজারচলতি ভাল অ্যালো ভেরা জেলে সেই সমস্যা থাকে না। কারণ, সেটি প্রক্রিয়াকরণের পর হাতে আসে।
সরাসরি গাছ থেকে অ্যালো ভেরার শাঁস ব্যবহার করতে হলে ‘প্যাচ টেস্ট’ জরুরি। শাঁসটি হাতের কোনও অংশে ৩০-৪০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। জ্বালা, চুলকানি সমস্যা না হলে মুখে মাখুন।
যদি সেটি মাখার পরে কোনও অসুবিধা হয়, দ্রুত তা ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যালো ভেরা জেল ভিটামিন ই ক্যাপসুলের সঙ্গে মিশিয়ে, অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মালিশ করতে পারেন। ত্বকের বলিরেখা এতে দূর হবে। জেল্লা ফিরবে মুখে।