একটি আংটি দেশের ভূস্বর্গের মরসুম বদলের কথা বলে ওঠে। আংটির এক দিকের নকশায় চকচকে হিরেগুলি শীতের কাশ্মীরের বরফে ঢাকা রূপ বর্ণনা করে, আর সেটি পাল্টে দিলেই ভোলবদল। চুনির কারুকাজ করা আংটির উল্টো পিঠের নকশা বলে কাশ্মীরের ভরা বসন্তের ‘টিউলিপ উৎসব’-এর কথা।
কাশ্মীরের মরসুম বদলের কথা বলে এই আংটি। ছবি: জ়োয়া।
কোথায় গেলে মিলবে এমন অভিনব নকশার গয়নার সম্ভার? এমন নকশার খোঁজ পেতে হলে গন্তব্য হতেই পারে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণির ‘জ়োয়া’ বুটিক। ডিজ়াইনার পোশাক নয়, শহরের বুকে হিরের গয়নার একটি বুটিক তৈরি হয়েছে। এখানে যা যা তৈরি হয়, তা আর কোথাও নেই। ঝাঁ চকচকে বুটিকে ঢুকলে মনে হতেই পারে কোনও আর্ট গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছেন। বুটিকের প্রতিটি গয়নার নকশার পিছনে রয়েছে নতুন ভাবনা। কখনও গয়নার কারুকাজে উঠে এসেছে আমাজ়নের জঙ্গলের ছায়া, কখনও কানের দুলে ফুটে উঠেছে রাজস্থানের পান্না মিনাকা কুণ্ডের আদল। আবার কখনও গয়নার নকশায় দেখতে পাবেন এক টুকরো বেনারসের ঘাট। বুটিকের প্রতিটি গয়না তৈরির পিছনেই রয়েছে কোনও না কোনও গল্প। নকশাগুলিতে চোখে পড়বে সাবেকি ভাবনার সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল।
জ়োয়ার গয়না মলাইকা অরোরা থেকে সোনম কপূর। ছবি: জ়োয়া।
গয়না এমন হবে, যাঁর নকশায় থাকবে নিজস্ব ভাবনার ছোঁয়া, সেই শখ অনেকেরই হয়। আপনার পরিবারের ঐতিহ্য ফুটে উঠতে পারে গয়নার সূক্ষ্ম নকশায়। আবার জীবনের গল্পের ধাঁচেও তৈরি হতে পারে হার, দুল, লকেটের কারুকাজ। শাহরুখ খানের পত্নী গৌরী খান থেকে অভিনেত্রী সোনম কপূর, মলাইকা অরোরা ‘জ়োয়া’র গয়নায় সেজেছেন অনেক তারকাই। বুটিকের নিজস্ব ডিজ়াইনারেরা বসবেন আপনার সঙ্গে, আপনার গল্প শুনে ঠিক সেই মতোই বানিয়ে দেবেন গয়নার নকশা। বিষয়টি খানিকটা সময়সাপেক্ষ হলেও, সাধের গয়নার জন্য সেটুকু ধৈর্য তো রাখাই যায়।