লাভের মুখ দেখল কাশ্মীরি জাফরান ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীর উপত্যকায় জাফরান চাষিদের মুখে অবশেষে হাসি ফুটল। প্রচুর মাত্রায় কেশরের ফলন দেখে বেজায় খুশি চাষীরা। কৃষকদের মতে, গত বছরের তুলনায় এ বার উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। কাশ্মীর অঞ্চলে জাফরান চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। কাশ্মীরে ৩৭০০ হেক্টরেরও বেশি জমি জুড়ে জাফরানের চাষ হয়। পুলওয়ামার পাম্পোর এলাকা জাফরান চাষের প্রধান কেন্দ্র। যদিও এখন এটি কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন জেলা জুড়ে চাষ করা হচ্ছে। আর পাম্পোরের কৃষকরা এ বছর ফসল নিয়ে খুবই খুশি।
জাফরান চাষী নাসির হামিদ বলেন, ‘‘এ বছর আমরা যা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে অনেক ভাল ফলন হয়েছে। আমরা কয়েক দিন ধরে ফসল কাটছি। আমাদের জীবন পুরোটাই জাফরানের উপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষই জাফরান চাষের সঙ্গে জড়িত। জিআই ট্যাগিং আমাদের জন্য উপকারী, কারণ আমরা দেখেছি কাশ্মীরের নামে ভারত জুড়ে প্রচুর এমন কেশর বিক্রি হচ্ছে, যা আদৌ কাশ্মীরি নয়। এটি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা দরকার।’’
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই কাশ্মীরি জাফরানে জিআই ট্যাগিং চালু করেছে যাতে গ্রাহকরা কাশ্মীর থেকে খাঁটি জাফরান পান। জিআই নিশ্চিত করে যে খাঁটি কাশ্মীরি জাফরান বাজারে বিক্রি হয়। জিআই ট্যাগ চালু হওয়ার পরে কেশরের বিক্রির উপর লাভও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁদের কেশর ব্যবসা আরও লাভের মুখ দেখবে বলে আষা ওই অঞ্চলের চাষীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy