মনোবিদ মিনু বুধিয়া।
সুস্থ থাকার জন্য শরীরের সঙ্গে প্রয়োজন মনেরও যত্ন। তবে মানসিক স্বাস্থ্যের দেখভালের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। সে সব কথা মাথায় রেখেই ‘কেয়ারিং মাইন্ডস-ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ’-এর একটি নতুন শাখা তৈরি হয়েছে অসমের তিনসুকিয়ায়। ১৩ নভেম্বর, শনিবার ‘আর সি আগরওয়াল মাল্টিস্পেশ্যালিটি হস্পিটাল’-এ সেই ক্লিনিকের উদ্বোধন হয়।
দেশের কয়েকটি বড় শহর ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি তুলনায় কম গুরুত্ব পায়। তিনসুকিয়ার মতো ছোট শহরে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার মতো পরিকাঠামো তেমন নেই। এ দিকে, অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে মানসিক সমস্যা। এ সময়ে আরও বেশি করে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন। সে কারণেই এই ক্লিনিক খোলার কথা ভাবেন সেই শহরের মেয়ে মনোবিদ মিনু বুধিয়া। এর আগে কেয়ারিং মাইন্ডসের ক্লিনিক ছিলই কলকাতায়। এ বার সেই মানের পরিষেবা পাওয়া যাবে তিনসুকিয়ায়। মাকুম রোডে ওই ক্লিনিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শনিবার বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইএএস নরসিংহ পওয়ার। কেয়ারিং মাইন্ডসের অধিকর্তা মিনুর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন নরসিংহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিনুর স্বামী, শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া। এই উদ্যোগে পাশে থাকার জন্য অনুষ্ঠান শেষে সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
উদ্বোধনের পর মিনু জানান, তিনি নিজে এক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মা। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো কতটা প্রয়োজন, তা তিনি জানেন। তিনসুকিয়ার এই ক্লিনিকে পাওয়া যাবে নানা ধরনের পরিষেবা। সাইকো থেরাপি, কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে স্পেশ্যাল এডুকেশন, কথা বলা-আদবকায়দার মতো সফ্ট স্কিলসের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকছে এখানে। পাশাপাশি, এখানে থেরাপিও শেখানো হবে। সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের এক বছরের কোর্স এবং সাইকোথেরাপির ছ’মাসের সার্টিফিকেট কোর্স শুরু হচ্ছে ‘কেয়ারিং মাইন্ডস’-এর তিনসুকিয়া শাখায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিলবে সার্টিফিকেট।
ক্লিনিকের তরফে জানানো হয়েছে, কেয়ারিং মাইন্ডসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সব রকম লজ্জার অবসান ঘটানো। আর পাঁচ রকম অসুস্থতার ক্ষেত্রে যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন, তা তেমনই জরুরি মানসিক অসুখের ক্ষেত্রে। সে কথা তিনসুকিয়ার মানুষকে মনে করাতে চায় ‘কেয়ারিং মাইন্ডস’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy