দইয়ে ডোবানো নরম বড়া। মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। তারই স্বাদে মজেছে গোটা ভারত। কেউ বলেন, দই বড়া কর্নাটক থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে। উত্তর ভারত, রাজস্থান, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গেও দই বড়া বেশ জনপ্রিয় খাবার। প্রত্যেক রাজ্যেরই স্বাদে কিঞ্চিৎ বদল হয়।
বাঙালি মিষ্টির দোকানেও ঠাঁই করে নিয়েছে এটি। অনেকেই বাড়িতে বানান দই বড়া। কিন্ত কখনও দই ফেটে যায়, কখনও বড়ায় সেই নরম ভাব আসে না। কারও অভিযোগ বড়ার মধ্যে শক্ত দলা হয়ে যায়। বিশেষত বড়া ঠান্ডা হলে স্বাদ কমে যায় অনেকটাই।
এ সবের সমাধানের উপায় বাতলাচ্ছেন জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী রণবীর ব্রার। ভিডিয়ো পোস্ট করে রান্না শেখান তিনি। সেই পোস্টে থাকে রান্নার ভুলভ্রান্তি এবং কী করে তা আরও ভাল করা যায় তেমন পরামর্শ। দই বড়া নরম এবং সুস্বাদু করার কয়েকটা কৌশল বলেছেন তিনি।
১। বিউলি ডাল ভিজিয়ে বেটেই দই বড়া হয়। তবে রন্ধনশিল্পীর পরামর্শ, বিউলির ডাল শুধু নয়, মেশাতে হবে মুগও। তিন ভাগ বিডলির ডালের সঙ্গে এক ভাগ মুগ ডাল মেশালে বড়া যেমন ফাঁপা হবে, তেমনই মুগ ডাল তাতে বাড়তি স্বাদ যোগ করবে।
২।দই বড়ার জন্য ডালবাটার পন্থাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাটার সুবিধার জন্য ডালের সঙ্গে বেশ কিছুটা জলও দিয়ে দেন কেউ কেউ। তাতেই ঘটে বিপত্তি। দই বড়ার ডালে যত কম জল হবে, ততই তা হবে হালকা এবং ফুলবে ভাল। স্বল্প পরিমাণে জল দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। যদি সেটি বাটা না হয় অল্প করে জল মেশান। মিশ্রণটি এতটাই ঘন হবে, যাতে হাত দিয়ে গোল করা যায়।
৩। পরের ধাপে ডালের মিশ্রণটি খুব ভাল করে হাত দিয়ে বা চামচের সাহায্যে ফেটিয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে জল নিয়ে হাতে করে অল্প একটু ডালের মিশ্রণ ফেলে দেখুন। যদি তা ভেসে থাকে বুঝতে হবে হয়ে গিয়েছে।
৪। বড়া ভাজার পর সেটি ঘরের তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একটি পাত্রে জল অল্প গরম করে তাতে নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, খুব সামান্য তেঁতুলের চাটনি দিতে হবে। বড়া সেই জলে ফেলে দিতে হবে। কিছুক্ষণ চুবিয়ে রাখার পর হাত দিয়ে আলতো চাপে জল বের করে তুলতে হবে।
৫। একটি পাত্রে সেই বড়া রেখে ফ্যাটানো টক দই, মিষ্টি চাটনি ছড়িয়ে দিতে হবে। চাইলে সবুজ চাটনিও দিতে পারেন। কেউ কেউ ঝুড়িভাজা ছড়িয়ে দেন উপর থেকে। একটু ভাজা মশলাও ভাল লাগে।