রুটি হবে ফুলকো, সাদা ধবধবে নরম, তবেই না খেতে ভাল!
দেখতে সাদা হলেও, তাতেই বিপদ বলছেন পুষ্টিবিদেরা। উপাদেয় হলেও, ময়দাকে তাঁরা মোটেই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় রাখছেন না। এত দিন অনেকেই রুটি ধবধবে সাদা, সুস্বাদু এবং নরম করতে গমের আটায় ময়দা মিশিয়ে নিতেন।
কিন্তু এখন পুষ্টিগুণের কথা জেনে ময়দা, গমের আটা ফেলে অনেকেই জোয়ার, বাজরা, রাগির রুটি খেতে চাইছেন। বাংলায় গমের আটার রুটি খাওয়ার চল থাকলেও অপেক্ষাকৃত মোটা এবং শক্ত জোয়ার, বাজরা বা রাগির রুটি খাওয়ার চল কোনও কালেই ছিল না। তবে এখন সমাজমাধ্যমের দৌলতে, খাদ্যাভ্যাসেও বদল আসছে। রাগির গুণপনার কথা শুনে এবং অনলাইনে চট করে মিলে যায় বলেই, অনেকেই বাজরা, রাগির আটা কিনছেন। কিন্তু গোল বাধছে রুটি বানাতে গিয়ে। যে ভাবে গমের আটা দিয়ে রুটি হয়, সেই পন্থাই অনুসরণ করছেন সকলে। কিন্তু রাগির আটা বা বাজরার শক্ত রুটি খাবে কে? পুষ্টির দোহাই দিয়েও খুদে থেকে বাড়ির বয়স্ক সদস্য, কাউকেই খাওয়া যাচ্ছে না?
আরও পড়ুন:
গলদ রুটি তৈরির কৌশলে, জানাচ্ছেন রন্ধনশিল্পী সঞ্জীব কপূর। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে নরম, ফুলকো পাতলা রাগির রুটি বানানোর কৌশল বাতলেছেন তিনি। সঞ্জীবের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এ নিয়ে ভিডিয়ো-ও রয়েছে।
তিনি বলছেন, রাগির রুটি তৈর করবেন চালের রুটি তৈরির পন্থায়। অর্থাৎ আটা একটু সেদ্ধ করে নিতে হবে। এ জন্য কড়াই বা ডেকচিতে বেশ কিছুটা জল ফুটিয়ে নিতে বলছেন তিনি। জলেই দিয়ে দিতে হবে স্বাদমতো নুন এবং অল্প একটু ঘি। চাইলে কেউ ঘি বাদ দিতেও পারেন। এ বার রাগির আটা গরম জলে দিয়ে হাতার সাহায্যে অল্প নাড়াচাড়া করে নিন। গরম জল পেয়ে রাগির আটা মণ্ড হয়ে যাবে। এই অবস্থায় আঁচ বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে সেটি মিনিট পাঁচেক রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে খুব ভাল করে ঠেসে ঠেসে মেখে নিন। তার পর লেচি কেটে রুটির মতো পাতলা করে বেলুন। রন্ধনশিল্পী বলছেন, এমন কৌশলে রুটি বানালে, ঠান্ডা হওয়ার পরেও তা নরম থাকবে। টিফিনেও দেওয়া যাবে।
রাগির আটা গ্লুটেন ফ্রি। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, শরীরের উপযোগী ফাইবার রয়েছে এতে। আয়রন, ক্যালশিয়ামে ভরপুর, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই আটার রুটি ডায়াবেটিকেরাও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।