প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
শুরুতে অনেকের মৃদু উপসর্গ থাকতে পারে। তাই বেশির ভাগ মানুষ আন্দাজ করতে পারেন না, কোভিড তাঁদের শরীরে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলছে। কিংবা কতটা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি। কিন্তু কয়েকটা বিষয়ে সচেতন থাকলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন, যে কোভিডের প্রভাব ধীরে ধীরে গুরুতর হচ্ছে। মোটামুটি ৫ থেকে ৭ দিনের (প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে) মধ্যে এগুলো বোঝা যেতে পারে। মারাত্মক হওয়ার আগেই যে লক্ষণগুলি নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
জ্বর না কমা
সকলের না থাকলেও বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সবচেয়ে বড় উপসর্গ জ্বর। চিকিৎসকদের মতে, জ্বর কতটা থাকছে, কত বেশি হচ্ছে, এগুলো প্রথম ২-৩ দিন খুব ভাল করে মেপে দেখতে হবে। যদি ৫ দিনের পরও দেখেন, দেহের তাপমাত্রা কমছে না, তা হলে সেটা চিন্তার বিষয়। যাঁরা বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন, তাঁরা দ্রুত যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। অনেকের শুরুতে জ্বর থাকে না। কিন্তু ৫ দিনের পর হঠাৎ জ্বর হলেও জানাতে হবে চিকিৎসককে। প্রথম দিকে যাঁদের অল্প জ্বর হয়ে সেটা মিলিয়ে গিয়েছিল, হঠাৎ করে যদি তাঁদের ফের জ্বর হয়, তা হলেও মনোযোগ দিতে হবে সে দিকে।
কাশি না সারা
যদি সারাক্ষণ গলা খুশখুশ করে এবং প্রচন্ড কাশি হয়, তা হলে সতর্ক হন। কোনও রকম কফ ছাড়াই যদি ভীষণ কাশি হয়, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বোধ করেন, তা হলে বুঝতে হবে কোভিড আপনার ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে ভালই ছড়িয়ে গিয়েছে। এতে কোভিডের দীর্ঘকালীন প্রভাব বেশি হতে পারে। কফ ছাড়া কাশি হলে সেটা নিউমোনিয়ারও লক্ষণ হতে পারে। কোভিডের সঙ্গে নিউমোনিয়া হলে তার মারাত্বক প্রভাব পড়বে শরীরে। তাই এই লক্ষণগুলির দিকে বিশেষ নজর দিন।
বুকে ব্যথা
কোভিড সাধারণত শ্বাসনালীর উপর অংশ প্রভাব ফেলে। যদি হঠাৎ করে বুকে প্রচন্ড ব্যথা হয়, বা জ্বালা ভাব হয়, তা হলে ধরে নিতে হবে শ্বাসনালীর নীচের অংশেও ধীরে ধীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। যে কোনও সময় যদি এই ধরনের কোনও ব্যথা ওঠে, বিলম্ব না করে ডাক্তারকে জানান। যত দেরি করবেন, কোভিড তত গুরুতর হয়ে উঠবে, এবং সারতেও অনেকটা সময় নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy