ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে, তুলনায় মানুষের শরীর ওই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে ততটা তাড়াতাড়ি সামঞ্জস্য গড়ে তুলতে পারে না। ফলে যে কোনও ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে নানা রোগ বা ব্যাধি দেখা দেয়। তেমনই শীতকাল পড়তেই মানুষ ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। এবং ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশী, জ্বর হাঁচিপড়া ইত্যাদি নানা ছোট খাট ব্যাধি মানুষকে বেশ ভোগায়। বিশেষ করে ছোটদেরকে।
আসলে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে শীতের শুরুতে যে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন তা সকলে করেন না। তাই এই সব ছোটখাটো রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেশি। প্রথমত ঠান্ডার শুরুতে সকাল, সন্ধ্যা ও রাত্রের দিকে শীতের পোশাক বা গরমের জামা কাপড় ব্যবহার করা উচিৎ। টয়লেট ও স্নান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ঠান্ডা লেগে না যায়। কখনোই বেশি ঠান্ডা জল ব্যবহার করা যাবে না। শীতের বাতাসে প্রচুর ধুলো, কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁওয়া বাতাসকে দূষিত করে। ঠান্ডার পোষাকের সঙ্গে এই সমস্ত দূষনের ব্যাপারেও আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ঠান্ডা, সর্দি কাশি জ্বর ও হাঁচি পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে যা করা প্রয়োজন তা হল, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করা। ধুলো বা দূষনের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাস্তা ঘাটে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যিক। মনে রাখতে হবে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আদ্রতা জনিত কারণে ঠোঁট, গাল, নাক, হাত পা এক কথায় শরীরের আঢাকা অংশ ক্রাক হয় বা ফেটে যায়। বিশেষ করে গ্রাম বাংলায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাত পা বেশি ফাটে। কারণ সঠিক যত্ন বা পরিচর্যা হয় না। অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
সর্দিকাশি, ঠান্ডালাগা, জ্বর হলে বা হলে অ্যান্টি-অ্যালার্জি, অ্যান্টি-পাইরেটিক ও অ্যান্টি-বায়োটিক ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো। এবং খেয়াল রাখতে হবে অনেক সময় বড় ধরনের রোগের ক্ষেত্রেও এই সব উপসর্গ দেখা দেয়। এই সব উপসর্গ যদি দু’সপ্তাহের অধিক সময় ধরে থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের নির্দেশ মতো সমস্ত রকম পরীক্ষা নীরিক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা করানো উচিৎ। এসব সাধারণ রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য আমাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত।
তার জন্য নানা রকম সমসাময়িক শাক সব্জী, ফল ও দুধ খাওয়া প্রয়োজন। ফলের মধ্যে যেমন কমলা লেবু, পাকাকলা, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি। এবং সুষম খাদ্যের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। এবং যে কোনও খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খাওয়া উচিৎ। শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বিশেষ করে মায়েদের এই সময়টা অনেক বেশি যত্নশীল হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy