আলোর উৎসবে মানুষের অসচেতনতাকে হাতিয়ার করে কোথাও গুঁড়ি মেরে ঢুকে পড়ে শব্দদানব! কোথাও আবার কোনও কোনও বাজি পরিবেশ দূষণকে একলাফে বাড়িয়ে তোলে অনেকটাই। কোনও বাজিতে আবার বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেশি। এ সব নানা দিক মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশ প্রতি বছরই কিছু বাজিকে নিষিদ্ধ তকমা দেয়। সে সব নির্দেশিকা মেনেই বাজি বিক্রি হয় দোকানে। এ বছরও ১০৫টি বাজিকে ‘নিষিদ্ধ’ বলে দেগে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
এমনিতে রাজ্যের নিয়মে ৯০ ডেসিবেলের উপর শব্দ মানেই তা বিপদসীমার উপর। আর তার উপর নির্ভর করে পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিষিদ্ধ করা হয় বেশ কিছু শব্দবাজি। যদিও পুলিশের চোখরাঙানি বা নিষেধ থাকলেও প্রতি বছর ঘুরপথে বা লুকিয়ে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হয়। নিয়ম ভাঙলে জরিমানা তো বটেই এমনকি জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার পর্যন্ত হতে পারেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই।
সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট করেছে সময়সীমা। নির্দেশ অনুযায়ী রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বাজি। তবে তা অবশ্যই আলোর বাজির ক্ষেত্রে। আলোর উৎসবে সামিল হতে আপনিও কি বাজি কেনায় সামিল?