গাজর খান, খোসাটি ফেলেও দেন। কিন্তু গাজরের খোসার পুষ্টিগুণ নেহাত কম নয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফার্মাকোগনসি এবং ফাইটোকেমিক্যালস রিসার্চ’- থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে গাজরের মতো এর খোসাও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ভিটামিন এবং খনিজের বেশ কিছুটা রয়ে যায় এতেও।
গাজরে মেলে ভিটামিন এ, কে, বি৬। পটাশিয়াম এবং বায়োটিনের মতো খনিজও থাকে সব্জিটিতে। আর সেই পুষ্টিগুণের অনেকটাই বাদ চলে যায় ফেলে দেওয়া খোসার মাধ্যমে।
ব্যবহারের কৌশল
খোসা ভাজা: গাজর কাটার সময় খোসাটি একটু মোটা করে ছাড়িয়ে নিন। তার পর টুকরো করে নিন। যেমন ভাবে আলুর খোসা ভাজা খায় সেই ভাবে রান্না করতে হবে। তবে বেশি তেলে উচ্চ তাপমাত্রায় নয়। বরং গাজরের খোসা ভাল করে ধুয়ে তেলে রসুন কুচি দিয়ে আঁচ কমিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন।
স্মুদি বা জুস: স্মুদি বানানোর সময় খোসা দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। সব্জির রস তৈরির সময়ও খোসাটি মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে মেলে বিটা ক্যারোটিন। চোখের জন্য উপাদানটি খুব জরুরি।
সার: গাজরের খোসা দিয়ে সারও হতে পারে। গাজরের খোসা কোথাও শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে মাটি খুঁড়ে মিশিয়ে দিন। সেটি পচে গিয়ে সার হয়ে যাবে। কিংবা গাজরের খোসা রোদে শুকনো করে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়েও দিতে পারেন।