বছরের এই সময়ে আপনার স্নানঘর এক ভিন্ন রূপ নিতে শুরু করে যেন। শীতের সময়ে গরম জলে স্নান করার প্রবণতা বেড়ে যেতেই বাথরুমও তার ভোলবদল করে। আয়না ঢেকে যায় বাষ্পে। মেঝে যেন শুকোতেই চায় না। দেওয়ালের কোণ থেকে শুরু করে ছাদ, জিনিস রাখার তাক থেকে গামছা-তোয়ালে, সর্বত্রই ভিজে ভাব। অতিরিক্ত আর্দ্রতায় দ্রুত ছত্রাক সংক্রমণ অথবা ছাতা পড়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। যতই জানলা খুলে দিন, ফ্যান চালিয়ে রাখুন, সহজে সতেজ, টাটকা আমেজ ফেরে না স্নানঘরে। শৌচালয়ে প্রবেশ করা মানেই আর্দ্রতা সারা দিনের সঙ্গী।
অধিকাংশ বাড়ির স্নানঘরই এমন ভাবে বানানো হয়, যেখানে মুক্ত হাওয়া সহজে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু ভেবে দেখুন, স্নানঘরে বাষ্প তৈরি হবেই, আর সেগুলিকে কোথাও তো যেতেই হবে। আর তাই জলকণাগুলি ছাদ, মেঝে, কাপড়, যে কোনও পৃষ্ঠতলে গিয়ে জমা হয়। অবশ্যই খরচ করে বাথরুমের জন্য ডিহিউমিডিফায়ার কিনতে পারেন, সে ক্ষেত্রে জলীয় বাষ্পমুক্ত স্নানঘর পেতে পারেন। কিন্তু সে সামর্থ্য না থাকলে বা বৈদ্যুতিক যন্ত্র বাথরুমে রাখতে চাইলে একটি টোটকা প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
ভেজা বাথরুম থেকে রেহাই মিলবে কিসে? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
স্নানঘরে রাখুন ছিদ্রযুক্ত কাপড়ের একটি ব্যাগ বা থলে। তাতে সৈন্ধব লবণ, সিলিকা ক্রিস্টাল, আর্দ্রতা শোষণকারী পুঁতি ভরে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখুন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোথায় রাখবেন? বাথরুমের সিলিংয়ের কাছাকাছি ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কারণ, নীচে ঝুললে জলের ছিটে লাগতে পারে। এর ফলে থলের ভিতরের উপাদানগুলি বাষ্প শুষে নেওয়ার আগেই থলেটি জলে ভরে উঠবে। তার পর আর বাষ্প শোষণের ক্ষমতা থাকবে না উপাদানগুলির। তাই বেশ খানিকটা উঁচুতে ঝুলিয়ে রাখা উচিত। জলের বাষ্পগুলি নীচ থেকে উপরের দিকে ওঠা শুরু করতেই থলেতে ধরা পড়ে যাবে। ফলে ধীরে ধীরে আর্দ্রতা কমে আসতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন:
তবে এই টোটকা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—
• শিশু এবং পোষ্যদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে রাখবেন না।
• খুব নীচে ঝোলালে লাভ হবে না।
• ছিদ্রযুক্ত কাপড়ের ব্যাগ-থলে ব্যবহার না করলে বাষ্প প্রবেশ করতে পারবে না।
• জলের ছিটে থেকে দূরে রাখতে হবে।
• সপ্তাহের শেষে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, থলের উপাদানগুলি বাষ্পে ভরে উঠেছে কি না। সময় মতো পাল্টে দিতে হবে।