Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
chair

বসার ব্যবস্থা বাড়িয়ে দেবে ঘরের শোভা, কোথায় কেমন জিনিস?

বসার জন্যও চেয়ার-সোফার রকমফের। দরকার শুধু ঘরের থিম বুঝে কেনার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৬
Share: Save:

জনপ্রিয় ছবি ‘ডিয়ার জ়িন্দেগি’তে আলিয়া ভট্টকে শাহরুখ খান বুঝিয়েছিলেন কুর্সির কথা। অর্থাৎ চেয়ারের গল্প। যে চেয়ারে বসে আওয়াজ হয়, ঠিক মতো আরাম বোধ হয় না, সেই চেয়ারে বসলে অস্বস্তি হবেই। তাই ঠিক চেয়ার নির্বাচন করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেয়ারেরও নানা ধরন হয়। ঘরের রং, থিম অনুযায়ী বদলে যেতে পারে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। কী কী ধরনের অ্যারেঞ্জমেন্ট সবচেয়ে জনপ্রিয়? কোন ধরনের চেয়ার রাখবেন কোথায়? কেমনই বা হবে তার যত্ন?

বসার নানা ধরন

সোফা: বড় লিভিং রুমে আড্ডা দিতে বসলে নরম গদিওয়ালা সোফার কথা মনে পড়ে সকলেরই। কুশন টেনে এনে পা তুলে সেই নরম গদির মাঝে ডুবে আড্ডা দেওয়ার মেজাজই আলাদা। সেই সোফারও আছে নানা ধরন। বড় ঘরের মধ্যে একটি অংশই বসার জন্য নির্দিষ্ট করতে চাইলে সেকশনাল সোফা রাখা যায়। অর্থাৎ এক দিকে অন্তত তিন-চার এবং তার কোনাকুনি এক-দু’জনের বসার জায়গা। মাঝে রাখতে পারেন সেন্টার টেবল।

আবার ঘরে বেশি জায়গা না থাকলে শুধু মাত্র দু’জনের বসার জন্যও রয়েছে সোফা। নাম তার লাভসিটস। এতে আরাম করে দু’জনে তো অবশ্যই, আবার মাঝে এক খুদেও বসতে পারে দিব্যি।

স্লিপার সোফা আবার অন্য রকমের। স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের জন্য একেবারে আদর্শ এটি। সোফার তলাতেই থাকে আর একটি এক্সটেনশন। সেটি টেনে নিলেই সোফা পরিণত হয় খাটে। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী সোফাকে বদলে নিতে পারেন খাটে।

চেসেস: যদিও এটিকে সোফারই আর এক ধরন বলা যায়, তবু এটি দেখতে সোফার চেয়ে আলাদা। লম্বাটে বসার জায়গা তো আছেই, পা ছড়িয়ে আরাম করে বসাও যায়। তবে চেসেসের পুরো অংশে হেলান দেওয়ার জায়গা নেই। বাঁ দিক থেকে হেলান দেওয়ার সাপোর্ট ঢেউ খেলে নেমে যায় নীচে।

রিক্লাইনার: বসার জায়গা স্বতন্ত্র হোক, এমন মনোভাব থাকলে বাছতে পারেন রিক্লাইনার। সোফার কায়দায় তৈরি রিক্লাইনার সাধারণত ওয়ান সিটার হয়।

ফুটন: সোফার মতোই সমস্ত আরাম-সহ ফুটনের বিশেষত্ব অন্যত্র। বসার জায়গার নীচে থাকে পা রাখার জায়গাও। ফুটনের এক দিকে একটি লিভার থাকে। সেই লিভারের সাহায্যে পা রাখার অংশটিকে ইচ্ছে মতো উপর-নীচে করা যায়।

অটোমান: অটোমানকে আবার ফুটস্টুলও বলা চলে। সোফায় বসে পা রাখার জন্য আলাদা গদিআঁটা চৌকো কিংবা গোল টুল। তবে ইদানীং শুধু অটোমান ব্যবহারের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। জায়গা কম থাকলে স্বচ্ছন্দে কয়েকটি অটোমান রাখা যায়। অটোমান ব্যবহার করতে পারেন স্টোরেজ হিসেবেও। সে ক্ষেত্রে অটোমান সলিড হয়। অর্থাৎ অটোমানে বসার টপ লেভেলটি খুলে ভিতরে জিনিসপত্র রেখে ঢাকা দেওয়া যায়।

চেয়ার: ছোট, বড়, বেঁটে, লম্বা... চেয়ারের ধরনও নানা রকম। পরিসর স্বল্প থাকলে ফোল্ডিং চেয়ারের বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। প্রয়োজন মিটে গেলে ভাঁজ করে রাখা যায় সেটি।

আছে ল্যাডারব্যাক চেয়ার। কাঠের এই চেয়ারে হেলান দেওয়ার অংশটি দেখতে হয় একেবারে মইয়ের মতো। সাবেক ধাঁচের ল্যাডারব্যাক চেয়ার বারান্দা কিংবা বাড়ির বাইরে বসার জন্য একেবারে আদর্শ।

লম্বাটে ধরনের কাঠের তৈরি রকিং চেয়ারে বসে গল্পের বই পড়ার মজাই আলাদা। অনেক সময়ে এই ধরনের চেয়ারে যাতে দুলুনি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে চেয়ারের পায়ার মাঝে অর্ধ বৃত্তাকার অংশ থাকে না।

বাড়ির রান্নাঘরে বেশি জায়গা থাকলে অনেক সময়ে কিচেন কাউন্টারেই খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সে ক্ষেত্রে সামনে যদি জায়গা বেশি থাকে, তা হলে লম্বাটে পায়াযুক্ত টুলের দরকার হয়। এটি অবশ্য বার স্টুল নামেই পরিচিত।

এ ছাড়া পার্ক বেঞ্চ, ডিভান, ডেস্ক চেয়ার, আপহোলস্টারিড বেঞ্চ, গার্ডেন চেয়ার, উইন্ডসর চেয়ার, থ্রোন... সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টের ধরন বলে শেষ করা যায় না।

মোড়া: নিজের বাড়িতেই যদি একটু অন্য ধরনের বসার ব্যবস্থা করতে চান, তা হলে কিনতে পারেন মোড়া। বেতের নানা ধরনের মোড়ায় আবার রংচঙে ডেকরেশন করা যায়।

দোলনা: বসার জন্য দোলনা অন্যতম অপশন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, একটি ঘরে একের বেশি দোলনা না রাখাই শ্রেয়। তবে একজনের বসার জন্য না কি দোলনায় পাশাপাশি বসতে পারে দু’-তিন জন... চাহিদা অনুযায়ী বেছে নিতে হবে।

ফ্লোর অ্যারেঞ্জমেন্ট: মেঝেয় বসার ব্যবস্থা করার ট্রেন্ড ইদানীং বাড়ছে। বাহারি শতরঞ্চি, সাবাই ঘাসের মাদুর পেতে দিতে পারেন মেঝেয়। আশপাশে থাকুক কুশন। শীতে ফ্লোর অ্যারেঞ্জমেন্টে পুরু কার্পেট, গদির ব্যবস্থাও করতে পারেন।

দেখভাল

সোফা হোক বা চেয়ার... কী ধরনের মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি, তার উপরে নির্ভর করছে তার যত্ন। ফক্স লেদারের সোফা সামান্য ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। লেদারের সোফার ক্ষেত্রে নরম সুতির শুকনো কাপড়ই ভাল। সোফা পরিষ্কারের স্প্রেও কিনতে পারেন। মেটালের চেয়ার জল দিয়ে পরিষ্কার করলে জং বা মরচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চেয়ারের রং চটে গেলে, সোফার কভার ছিঁড়ে গেলে রং করিয়ে নেওয়া, কভার বদলানো জরুরি। চেয়ার যেমনই হোক না কেন, তা বাছুন নিজের প্রয়োজন মতো। নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Home Decor Tips Sitting Arrangements Chair Designs
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE