শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। এখন খোঁজ শুরু হবে ভাল শালের। শালের প্রসঙ্গ উঠলেই সবার আগে মাথায় আসে পশমিনা শালের কথা। সাধারণ সুতোর তুলনায় ছয় গুণ পাতলা, তিন গুণ গরম হয় পশমিনা সুতো। যত ভাল পশমিনা, তত মিহি ও উষ্ণ। মহাভারতেও ছাগলোমে প্রস্তুত এই শীতবস্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। শকদেরও প্রিয় ছিল কারুকার্যে নিখুঁত এই শাল। পশমিনা পছন্দ করে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন হিউয়েন সাং। এই শালের প্রতি আকবর বাদশার অনুরাগের নজির মেলে ‘আইন-ই-আকবরি’তেও।
জগৎ জোড়া খ্যাতি এই শালের। এই শালের উপর সূক্ষ কারুকাজ নজর টানে সকলেরই। শীতের মরসুমে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই শাল বিক্রি শুরু হয়। এ ছাড়া কাশ্মীর, শিমলা, মানালি, দার্জিলিং-এর মতো ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে গেলেই এই শাল কেনেন পর্যটকেরা। এই শালের দাম সাধারণ শালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। চড়া দাম দিয়ে যে শালটি কিনছেন তা আদৌ পশমিনা তো? কেনার আগে জেনে নিন, আসল পশমিনা কেনার সহজ ৫ উপায়।
১) আলোর সামনে শালটি মেলে ধরুন। আসল পশমিনা আলো আটকাতে পারে। যদি স্বচ্ছ দেখায়, তা হলে বুঝতে হবে শালটি মোটেই পশমিনা নয়।
২) পশমিনা হাতে বোনা হয়। তাই এর কারুকাজ মোটেই নিখুঁত হয় না। খুব ভাল করে লক্ষ করলেই শালটি যন্ত্রে বোনা কি না, তা পরখ করা যাবে। পশমিনা শালের নকশা সর্বত্র এক রকম হতে পারে না। হাত দিলে তা অবশ্যই মিহি লাগবে, তবে তার মধ্যেও কিছু অসমান জায়গা থাকবেই।
৩) পশমিনার মূল্য আকাশছোঁয়া। এত দামি জিনিস অযত্নে রাখবেন না বিক্রেতারাও। শাল কেনার আগে খেয়াল করুন শালের মোড়ক, লেবেল। আসল জিনিসের লেবেল, সার্টিফিকেট দুই-ই থাকা দরকার।
কেবল কিনলেই তো হল না, যত্ন করতে হবে বইকি
১) ভাল মানের পশমিনার শালের আয়ু একশো বছরও পার করতে পারে। পশমিনার যত্নে রাখতে হলে সেটি হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখবেন।
২) বর্ষার মরসুমে মাসে এক বার হলেও পনেরো মিনিট করে পশমিনায় জোলো হাওয়া খাওয়ান।
৩)একরঙা পশমিনা ঠান্ডা জলে ধোবেন। নিংড়াবেন না। ছায়ায় শুকোবেন। কারুকাজ করা শাল হলে পালিশ করিয়ে নেওয়াই ভাল।