গর্ভপাতের কারণ দূষণ।
বায়ুদূষণের কারণে ভারতে গর্ভপাতের পরিমাণ বাড়ছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও বাড়ছে গর্ভপাতের সংখ্যা। তার পিছনেও রয়েছে বায়ুদূষণের ভূমিকা।
‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটরি হেল্থ জার্নাল’-এ প্রকাশিত প্র বলছে, বায়ুদূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই অংশের বহু গর্ভবতীই হারাচ্ছেন সন্তানদের। বহু ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন মায়েরা। এবং সেই সব শিশুর ওজনও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম।
গবেষক দলের প্রতিনিধি অধ্যাপক টাও জুয়ে বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ার এই সব জায়গা বায়ুদূষণের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা জায়গা। গর্ভপাতের মতো ঘটনাও এই দক্ষিণ এশিয়াতেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ঘটে। এই দুই বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্র থাকতেই পারে। আমাদের গবেষণা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।’’
পরিসংখ্যান বলছে, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের বাতাসে পিএম ২.৫-এর পরিমাণ মারাত্মক ভাবে বেশি। কী এই পিএম ২.৫? এটি এমন এক ধরনের দূষিত কণা, যা নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের একেবারে গভীরে চলে যেতে পারে। এবং সেখান থেকে খুব সহজেই রক্তে মিশে যায়। এর ফলে বাড়ে হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগের আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, হালের এই গবেষণা দেখাচ্ছে, এই ধরনের দূষিত কণা হবু মায়েদের জীবনে ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। পিএম ২.৫ ছেদ করে ফেলতে পারে তাঁদের প্লাসেন্টা। আর তাতেই ঘটে যেতে পারে গর্ভপাতের মতো ঘটনা।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলিতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। সংখ্যাটা এখন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ছুঁয়েছে। যার পিছনে বড় কারণই হচ্ছে বায়ুদূষণ। এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান। এবং দূষণের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে, তাতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy