লম্বা একটা ট্রেন সফর করে বা টানা লং ড্রাইভে বেরিয়ে ক্লান্ত হয়ে যেতে চাইছেন মঞ্জিমা। পারলে একই দিনে দার্জিলিংয়ের গ্লেনারিজে ব্রেকফাস্ট আর রাতে তাজপুরের বালিয়ারিতে আগুন জ্বালিয়ে বার-বি-কিউ ডিনারের প্ল্যান করে ফেলেন তিনি। নেহাৎ সময়ে দেবে না, না হলে মাঝে শান্তিনিকেতেনেও থামতেন। খোয়াইয়ের হাট থেকে কিনে নিতেন খান কয়েক বাটিকের শাড়ি বা খেসের চাদর। কিংবা একটা একতারা। লাল ধুলোতে পা ডুবিয়ে শুনে নিতেন বাউল গান।
গত কয়েক মাসের বদ্ধ জীবন থেকে ছুটি যদি নিতেই হয় তবে এ ভাবেই নেওয়া ভাল, তাই না! ভাবছেন মঞ্জিমার মতো অনেকেই। কেউ আবার ভাবছেন, গত ১০ মাসের ঘরে বসা ক্লান্তি যদি ঝাড়া দিয়ে ফেলতেই হয় তবে এ রকমই একটা জোরদার ঝটকা দরকার। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায়র প্রথম পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে গা ঝাড়া দিয়ে বারমুখী হওয়ায় সাহসও বেড়েছে একটু। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে বেড়ানোর ছবি। আজ এক বন্ধু পুরুলিয়া, তো কাল আরেকজন গনগনি। কেউ লামাহাটা তো কেউ সুন্দরবন। কিন্তু, এ ভাবে বেড়িয়ে পড়াটা কি সত্যিই ঠিক হচ্ছে!
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা