Advertisement
E-Paper

Comfortable Beds: সুখশয্যা

দিনের শেষে আরামের বিছানাটা হোক মনের মতো। সঙ্গে আধুনিক ডিজ়াইনের স্পর্শ থাকুক

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২২ ০৭:১৬
প্ল্যাটফর্ম বেড।

প্ল্যাটফর্ম বেড।

এখনকার বেশির ভাগ ফ্ল্যাটেই অন্দরসজ্জার সময়ে মাথায় রাখতে হয় স্পেসের কথা। বর্গফুটের হিসেবে যদি আসবাব বানানো যায়, তা হলে অনেকটা জায়গা বাঁচানো যায়। এতে ছোট ফ্ল্যাটও আয়তনে বড় দেখায়। একটু আয়েশ করে থাকা যায়। কিন্তু বিছানার জন্য প্রমাণ আকারের একটা জায়গা ছাড়তে হয় সকলের বাড়িতেই। এখন বাজারে অনেক ধরনের বেড পাওয়া যায়। কোনওটা ওয়ালমাউন্টেড, কোনওটায় রয়েছে স্টোরেজের ব্যবস্থা। নিজের প্রয়োজন অনুসারে বেছে নিতে পারেন। রইল কিছু বেডের রকমফের— বেড ক্যাবিনেট: একটা বক্সের মধ্যেই পুরো বিছানাটা ফোল্ডেড অবস্থায় থাকে। বেসিন ক্যাবিনেটে যেমন একটা বাক্সের আকার থাকে, তেমনই অনেকটা। এ বার দরকার অনুযায়ী তা খুলে নিয়ে ব্যবহার করলেন আবার দরকার মিটে গেলে তা ভাঁজ করে ক্যাবিনেটের মধ্যে ঢুকিয়েও রাখতে পারেন। এতে জায়গা বাঁচবে অনেকটা। দিনের যে সময়টা জেগে থাকছেন, সে সময়ে সেই জায়গায় টেবল-চেয়ার পেতে কাজ করতে পারেন।

  • ওয়াল মাউন্টেড বেড: এ ভাবেও তৈরি করতে পারেন। তার জন্য একটা দেওয়াল বেছে নিয়ে তার সম্প্রসারণ হিসেবে রাখতে হবে বিছানা। দেওয়াল থেকে খুলে বিছিয়ে নিলেই শয্যা প্রস্তুত। আবার দরকার মিটে গেলে তা গুটিয়ে দেওয়ালে সেঁটে রাখা যায়।
  • বিল্ট-ইন বেড: এ ধরনের বিছানা মূলত কোনও আসবাবের সঙ্গে লাগোয়া থাকে। হয়তো চারদিকে একটা বুকশেল্ফ রয়েছে। তার মাঝের অংশটা কাজে লাগিয়ে একটা বিছানা তৈরি করে নেওয়া যায়। আবার শিশুদের জন্য ফ্ল্যাটের একটা কোণে জানালার ধার ঘেঁষে চার দিকটা ঘিরে এ ধরনের বিছানা তৈরি করতে পারেন। এতে এক দিকে যেমন জায়গা সাশ্রয় হয়, তেমনই একটা আসবাবের মধ্যেই দুটো আসবাবের কাজ হয়ে যায়।
  • প্ল্যাটফর্ম বেড: এ ধরনের বেডে কাঠের একটা প্ল্যাটফর্মের উপরে ম্যাট্রেস পাতা থাকে। এই বিছানা মাটির সঙ্গে সমান্তরালে বিছানো থাকে। ফলে সাপোর্ট ভাল পাওয়া যায়। ব্যাক পেনের সমস্যায় প্ল্যাটফর্ম বেডে শুতে পারেন।
  • মাল্টিফাংশনাল বেড: মূলত লেদারের হয় এই ধরনের বিছানা। ব্যাকরেস্ট ও হেডরেস্টের ব্যবস্থা থাকে। এই ধরনের বেডে সোফার আকারও দেওয়া থাকে। আবার এক দিকে স্টোরেজের ব্যবস্থাও থাকে। কিছু বেডে আবার এলইডি আলো লাগানো থাকে। ফলে সেখানে বসেই পড়া যায়।
  • স্মার্ট বেড: এ ধরনের বেডে সেনসর ও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে আপনি কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করে। যদি কোনও অসুবিধে হচ্ছে বলে সেনসর ডিটেক্ট করে তা হলে নিজে থেকেই অ্যাডজাস্ট করে দেয়।
  • বাঙ্ক বেড: বাচ্চাদের জন্য বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করা যায়। পাশে সিঁড়ি লাগানো দোতলা বিছানা। বাড়িতে একাধিক শিশু থাকলে তাদের যেমন শোয়ার সুবিধে হবে, তেমনই জায়গাও কম লাগে। বাঙ্ক বেড তৈরি করলে নীচের বিছানার মধ্যে স্টোরেজের ব্যবস্থা করতে পারেন। অনেকে আবার বিছানার সঙ্গে একটা তাকের ব্যবস্থা করে রাখেন। তা হলে সেখানে বসে লেখাপড়ার কাজও কিছুটা সেরে ফেলা যায়।
  • হাইড্রলিক বেড: এই বেডের মধ্যে স্টোরেজ থাকে। আর বাক্সের ঢাকনা খোলার মতো বিছানা উপর দিকে তুলে এটা খোলা যায়। তার জন্য বিছানার দু’পাশে গ্যাস স্প্রিং লাগানো থাকে। ফলে বিছানাটা মাথার উপরে তুলতে সুবিধে হয়।

যে ধরনের বিছানাই তৈরি করুন, তা যেন পরিষ্কার থাকে। বিছানার কাঠামো কী দিয়ে তৈরি করবেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন বাঙ্ক বেড কাঠ, ধাতু বা ফাইবার তিন ধরনেরই হয়। প্ল্যাটফর্ম বেড কাঠের তৈরি করলেই ভাল। মাটির কাঠামোতৈরি করেও এ ধরনের বিছানা বানানো যায়। মিনিমালিস্টিক জীবনযাপনে উৎসাহী হলে এ ধরনের মাটির স্থায়ী বিছানা তৈরি করে নিতে পারেন। তবে ঠিকানা বদলাবেন কি না তার উপরেও নির্ভর করছে অনেকটা।

Home Decor Bedroom
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy