একটা বয়সের পরে সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলা জরুরি। কী খাবেন আর কী বাদ দেবেন জেনে নিন
পঁয়ষট্টি পেরিয়ে যাওয়া এক প্রবীণার বাড়ির সকলে যে যাঁর কাজে ব্যস্ত। একা একা খেতে হবে বলে অধিকাংশ দিনই ঠিক মতো খাবার খান না তিনি। অন্য দিকে মর্নিং ওয়াক থেকে ফেরার পথে ষাটোর্ধ্ব একজন নিয়মিত কচুরি, শিঙাড়া খেয়ে আসেন। ছোটদের মতোই বয়স্ক ব্যক্তিরাও কিন্তু খাবার নিয়ে টালবাহানা করে থাকেন। অন্য দিকে বয়স যত বাড়ে, রোগ ব্যাধিও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। যদি কোনও জটিল রোগ না-ও থাকে, তা হলেও বয়স ষাটের গণ্ডি পেরিয়ে সত্তরের দিকে এগোতে না এগোতেই শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই বয়সে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ইটিং ডিজ়অর্ডার। অনেকের যেমন খাবারে অনীহা তৈরি হয়, তেমনই অনেকের মধ্যে ভুলভাল খাবার খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটখারাপ— এগুলো বয়সকালের স্বাভাবিক সমস্যা। ইটিং ডিজ়অর্ডারের সঙ্গেই ঘুম কমে যাওয়া, হাত-পায়ে ব্যথা... ইত্যাদি উপসর্গও যোগ হয়। বয়স্কদের জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরি।
ডায়াটিশিয়ান কোয়েল পালচৌধুরী বলছেন, ‘‘বয়স্ক ব্যক্তিদের একবারে বেশি খাবার না দিয়ে অল্প করে বারবার খেতে দিতে হবে। বাইরের খাবারের বদলে বাড়িতে তৈরি কম তেলমশলাযুক্ত খাবার দেওয়া উচিত।’’ বয়স হলে দাঁতের জোর কমে যায়, দাঁত পড়ে যায়। ফলে চিবিয়ে খেতে সমস্যা হয়, যেটা বদহজমের অন্যতম কারণ। তাই সেমি-সলিড, লিকুইড খাবার দিলে ভাল। বয়স্ক মানুষদের ডায়েট নিয়ে নানা রকম ভ্রান্ত ধারণা আছে। নির্দিষ্ট কোনও রোগ না থাকলে বয়স্ক ব্যক্তিদের ডায়েট সাধারণত কেমন হওয়া উচিত তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন কোয়েল পালচৌধুরী।