ফোন মাঝেমধ্যেই খারাপ হয়? এর কারণ আপনার কিছু ভুল অভ্যাস নয় তো? যন্ত্র কখন বিগড়ে যাবে, তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। তাই যন্ত্রের যত্ন নিতেই হবে। ফোন ব্যবহারে এমন কিছু ভুল হয়, যাতে ফোনের ব্যাটারির আয়ু ফুরিয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি।
কী কী নিয়ম মানলে ফোনের আয়ু বাড়বে?
চার্জের সময়ে ভুল
ফোনের চার্জ ২০ শতাংশে নামলে তবে চার্জ দিতে বসান। আশি শতাংশ চার্জ থাকলে ফের চার্জ দিতে যাবেন না।
১০০ শতাংশ চার্জ হওয়ার আগেই চার্জার খুলে নিন। নিয়ম হল আশি শতাংশ অবধিই চার্জ দেওয়া, এর বেশি নয়। তা হলে ব্যাটারি টিকবে দীর্ঘ দিন।
মোবাইলের ব্যাটারি গরম হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে চার্জারের প্লাগটি বন্ধ করুন।
ফোন যদি নতুন হয় তা হলে বারে বারে চার্জে বসাবেন না, এতে ব্যাটারির ক্ষতি হবে।
স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সময়ে ফোনের কভারটা মনে করে খুলে রাখবেন। আমরা অনেকেই এই নিয়ম মানি না। কভার লাগানো অবস্থায় ফোন চার্জ করলে খুব তাড়াতাড়ি ফোনের ব্যাটারি গরম হয়ে যায়।
ইউএসবি এবং হেডফোন পোর্ট
অনেক সময়ে ইউএসবি এবং হেডফোন পোর্টে পুরু ময়লা জমে যায়। ফলে চার্জ দেওয়া এবং গান শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এই সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারেন। ছোট পিন কিংবা একদম সরু কাঠি ব্যবহার করে ধুলো ঝেড়ে ফেলতে পারেন। তবে পিন বা কাঠি যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, তার মাথায় যেন পাতলা করে তুলো জড়ানো থাকে।
আরও পড়ুন:
তাপমাত্রা
ফোনকে সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না। গাড়ির ড্যাশবোর্ডে রেখে দেওয়া অথবা চার্জের সময়ে বালিশ বা চাদরের নীচে রাখার অভ্যাস ক্ষতিকর। অত্যধিক তাপমাত্রা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেবে।
ব্যাটারি সেভার মোড
অ্যান্ড্রয়েডের ব্যাটারি সেভার মোড (বা কিছু ব্র্যান্ডের পাওয়ার সেভিং মোড) ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি কম করে, উজ্জ্বলতা কমিয়ে এবং ডার্ক মোড চালু করলে ব্যাটারির আয়ু বাড়তে পারে। এই বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে উপকারী, যখন আপনার ফোনের ব্যাটারি খুব কম থাকে। এর মাধ্যমে ফোন তার ব্যাটারির বেঁচে থাকা শেষ অংশটুকু সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে।
অবাঞ্ছিত অ্যাপগুলি বন্ধ করুন
পুরনো বা অব্যবহৃত অ্যাকাউন্টগুলি ডিলিট করে দিন। নির্দিষ্ট কোনও অ্যাপ ব্যবহারের পরে সেটি ভাল ভাবে বন্ধ করুন। যে অ্যাপগুলি কাজে লাগে না, সেগুলি আনইনস্টল করে দিন।
ফোনের স্ক্রিন
স্মার্টফোনের স্ক্রিনের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, তাই ‘ইউভি কিয়োরড টেম্পার্ড গ্লাস’ লাগানো হয়। প্রতিরক্ষার জন্য আলাদা ভাবে গ্লাস লাগানোর জন্য বিশেষ ধরনের আঠালো তরল স্প্রে করা হয়। পরে সেই আঠালো পদার্থই জমাট বাঁধার পর বিভিন্ন পোর্ট অথবা স্পিকারের মাধ্যমে ফোনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। ফলে ফোনের আয়ুও কমতে থাকে। তাই ফোনের স্ক্রিনগার্ড, কভার সবই দামি ও ভাল ব্র্যান্ডের ব্যবহার করা ভাল।