Advertisement
E-Paper

সমাজমাধ্যমের নেশার কারণে দাম্পত্য জীবনে কলহ বাধছে? আসক্তি দূর করতে মেনে চলুন ৩ উপায়

বাস, ট্রাম, মেট্রোয় হোক কিংবা অফিস-কলেজে, ইদানীং দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষেরই দিনের বেশ বড় একটি অংশ কেটে যাচ্ছে সমাজমাধ্যমেই। আসক্তি কাটানোর উপায় কী?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৩:২৬
সমাজমাধ্যমের আসক্তি দূর করবেন কী ভাবে?

সমাজমাধ্যমের আসক্তি দূর করবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।

বয়ঃসন্ধির সময়ে এমনিতেই কিশোর-কিশোরীরা নানা মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যায়। এ সময়ে জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা আসাও অস্বাভাবিক নয়। কোনও কিছুই ভাল না লাগা, অল্পেই মনখারাপ কিংবা হঠাৎ রেগে যাওয়ার মতো প্রবণতা দেখা যায় এ সময়ে। কিন্তু জানেন কি, অতিরিক্ত সমাজমাধ্যমে ডুবে থাকার প্রবণতা এ ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে বহু গুণ।

বাস, ট্রাম, মেট্রোয় হোক কিংবা অফিস-কলেজে, ইদানীং দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষেরই দিনের বেশ বড় একটি অংশ কেটে যাচ্ছে সমাজমাধ্যমেই। কখনও অন্যকে দেখে। কখনও আবার নিজের মুখ দেখিয়ে। একই ছবিতে হয়তো বার বার ফিরে যাচ্ছেন। কে কী বলল, দেখছেন। সময় বয়ে যাচ্ছে। কোনও কাজের কাজ হচ্ছে না। দিনের শেষে জমছে একরাশ বিরক্তি আর অসমাপ্ত সব কাজ।

সমাজমাধ্যম থেকে তখনই আপনার মনোযোগ সরবে, যখন আপনি অন্য কোনও কাজে মন দেবেন।

সমাজমাধ্যম থেকে তখনই আপনার মনোযোগ সরবে, যখন আপনি অন্য কোনও কাজে মন দেবেন। ছবি: শাটারস্টক।

চেনা চেনা ঠেকছে এই অনুভূতি? আপনার মতো হাজার হাজার মানুষের মনের এমনই দশা এই সময়ে। কিন্তু অকারণ সমাজমাধ্যমে সময় কাটানোর কোনও মানে তো নেই। কী ভাবে সেই অভ্যাসে বদল আনবেন?

১) সমাজমাধ্যম থেকে তখনই আপনার মনোযোগ সরবে, যখন আপনি অন্য কোনও কাজে মন দেবেন। নির্দিষ্ট কোনও পছন্দের কাজে সতর্ক ভাবে সময় দিন। তা বই পড়াই হোক কিংবা গান শোনা, সিনেমা দেখাই হোক কিংবা ছবি আঁকা। মন দিয়ে, সময় ধরে সেই কাজটি করুন প্রতি দিন।

২) সমাজমাধ্যমে বার বার মন চলে যায়? নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। তবেই আর কাজের মাঝে অন্যের জীবনের নতুন অধ্যায় দেখার জন্য মন অস্থির হয়ে উঠবে না। প্রয়োজনে সপ্তাহখানেকের জন্য ফোন থেকে সমস্ত সমাজমাধ্যমের অ্যাপগুলি ‘আনইনস্টল’ করে দিন। প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হবে কিন্তু এই ক’দিন কাটিয়ে উঠতে পারলে সমাজমাধ্যমের প্রতি আপনার আসক্তি অনেকটাই কমবে।

৩) অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট না করে, বাস্তবের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। অনলাইনের বন্ধুত্ব থেকে বাস্তবের বন্ধুত্ব অনেক বেশি দামি।

Mobile Addiction Social Media
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy