ধবধবে সাদা হোক বা টকটকে লাল, গন্ধ থাক বা না থাক, ফুল মাত্রই সুন্দর। তবে এমন ফুলও আছে যা দেখলে মনে হবে কোনও শিল্পী যেমন নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে তাতে নকশা এঁকেছেন। তুলির ছোঁয়ায় রং ভরেছেন।
গাইলারডিয়া, কোলাম্বাইন (বাঁ দিকে) এবং টোড লিলি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গাইলারডিয়া: হলুদ পাপড়ির উপর গোলাপি রং। কুঁড়ির রং আরও গাঢ়। ছোট ছোট ফুলগুলি দেখলে মনে হবে কেউ যেন পরম যত্নে পাপড়িতে রং বুলিয়েছে। শুধু হলুদ নয়, বিভিন্ন রঙের হয় ফুলটি। এটি গ্রীষ্মের গাছ। ফুলও হয় ভীষণ উজ্জ্বল। এই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালেকের প্রয়োজন। মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভাল হওয়া দরকার। গাছ বেড়ে ওঠার সময় মাঝেমধ্যে পরিমিত জৈব সার প্রয়োগ করা জরুরি।
আরও পড়ুন:
কোলাম্বাইন: বেগনি, গোলাপি বিভিন্ন রকম হয় ফুলটি। দু’ টোনের রঙের উপস্থিতি ফুলটিকে আকর্ষণীয় করেছে। দেখলে মনে হবে যেন সযত্নে রঙের পরত বোলানো হয়েছে। এই গাছ চড়া রোদে নয় বরং হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। জলের প্রয়োজন ঠিকই, তবে গোড়ায় জল বসলে গাছের ক্ষতি নিশ্চিত।
টোড লিলি: উজ্জ্বল বর্ণের ফুলের উপর ছিট ছিট দাগ। মনে হবে কেউ রং ছিটিয়ে দিয়েছে। গাঢ় বেগনি, সাদা, হলুদ এমন নানা রঙের সমন্বয়ের টোড লিলি দেখা যায়। আর্দ্র মাটি, ছায়াযুক্ত স্থান এই ফুলগাছের জন্য আদর্শ। তবে মাটিতে জল জমে গেলে গোড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে।