অনেক বছরের সঙ্গী প্রিয় জিন্সটি। কিন্তু পরতেও পারেন না। একে তো গায়ে আঁটে না, তায় আবার রংচটা। তা হলে আলমারি ভর্তি করে না রেখে নতুনের জন্য জায়গা করে দিন। তা বলে প্রাক্তনকে ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না। পুরনোকে কেবল নতুন কাজে নিযুক্ত করে দিন। ব্যবহার্য হয়ে উঠুক। আলমারিবন্দি হয়ে থাকলে আপনারও ভাল লাগবে না। ভাবছেন, পুরনো জিন্স থেকে জামাকাপড় বানানোর প্রথা আজকাল সেকেলে হয়ে গিয়েছে! তা হলে বরং অন্যান্য উপায়ে ঘর-গেরস্থালির কাজে লাগিয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন:
পুরনো জিন্সের পুনর্ব্যবহার করবেন কী কী ভাবে?
ডেনিম টোট ব্যাগ: ঘরের পুরনো জিন্স দিয়ে পোশাক বানাতে না চাইলে ফ্যাশনে অন্য ভাবে ডেনিমকে যোগ করতে পারেন। ডেনিমের পকেট দুটোকে ব্যাগের সামনের পকেট হিসেবে সেলাই করে দিতে পারেন। টোট ব্যাগ তার মধ্যে অন্যতম। কেবল টোট ব্যাগ কেন, চাইলে পুরনো ডেনিম থেকে শপিং ব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ, ক্লাচ, ওয়ালেট, স্লিং ব্যাগ, ব্যাকপ্যাকও তৈরি করতে পারেন।
ছবি: সংগৃহীত।
ডেনিম অ্যাপ্রন: আপনার রান্নাঘরের কাজের জন্য এই ডেনিম অ্যাপ্রন হতে পারে দুর্দান্ত সমাধান। ডেনিম খুব টেকসই কাপড়। রান্নাঘরের কাজের অত্যাচারে সহজে ফেটে বা ছিঁড়ে যাবে না।
ছবি: সংগৃহীত।
ডেনিমের কোস্টার: আপনার ঘরের টেবিলের উপর সাজানো থাকুক অভিনব কোস্টার। টেকসই, সুন্দর এবং নতুন ধরনের। এগুলি তৈরি করাও খুব সহজ। অনলাইনে ভিডিয়ো চালিয়ে শিখে নিতে পারেন কৌশল।
ছবি: সংগৃহীত।
ডেনিমের কুশন-কভার: ঘরের ভিতর হালফ্যাশনের ছোঁয়া যোগ করতে চান? পুরনো জিন্সই আপনার সহায় হতে পারে। জিন্স কুশন তৈরি করে ফেলুন। যে কোনও কুশনের কভার বানিয়ে নিন জিন্স দিয়ে।
ছবি: সংগৃহীত।
ডেনিম পকেট দিয়ে খাপ: জিন্সের পকেটগুলি বেশ টেকসই হয়। গোটা প্যান্ট যেমন ব্যবহার করবেন, তা হলে এই অংশটি ফেলে দেবেন কেন? ডেনিমের পকেটগুলি পুনর্ব্যবহার করে ঘর সাজানোর জিনিস বানানো যেতে পারে। যেমন, অর্গানাইজ়ার, নোটবুকের কভারের মতো বিভিন্ন ধরনের জিনিস। এই ডেনিম পকেটগুলি যে কোনও জায়গায় রাখা যেতে পারে। হাতল লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে অথবা মোবাইল রাখার খাপ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ছবি: সংগৃহীত।