যাঁদের বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন রয়েছে, কাপড় কাচার ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে অনেকেই ‘কুইক ওয়াশ’ ফিচারটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই পদ্ধতি কি আদৌ কার্যকরী। মেশিনে কাপড় কাচার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়লা রাখা উচিত। অন্যথায়, পোশাক নষ্ট হতে পারে। অনেক সময়ে তা থেকে ভাল ভাবে দাগও ওঠে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
‘কুইক ওয়াশ’ ফিচার
সাধারণত বেশির ভাগ ওশিং মেশিনে দ্রুত কাপড় কাচার জন্য (১৫ থেকে ৩০ মিনিট) এই ফিচার দেওয়া হয়। অটোম্যাটিক এবং সেমি-অটোম্যাটিক ওয়াশিং মেশিনের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কাপড় কাচা, ধোয়া এবং শুকনোর ব্যাপারে একটি বা দু'টি জটিল ধাপ কম থাকে।
কুইক ওয়াশ কি কার্যকরী
ড্রাই ক্লিনিং এক্সপার্টদের একাংশ এর উত্তর নানা ভাবে দিয়ে থাকেন। কারও মতে, কুইক ওয়াশ পদ্ধতি ভাল। কিন্তু কোনও কোনও পোশাক বা কাপড়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি ক্ষণ ধরে ওয়াশিং মেশিনে কাচার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন একটি সুতির কাপড়ের তুলনায় একটি কম্বল কাচতে বেশি সময় দেওয়া উচিত। তাই বলা যেতে পারে, কুইক ওয়াশের সাফল্য নির্ভর করে, কী ধরনের কাপড় কাচা হচ্ছে, তার উপর।
আরও পড়ুন:
কাপড়ের পরিমাণ এবং ‘কুইক ওয়াশ’
অনেক সময়েই দেখা যায়, যে কাপড়গুলি কাচা হবে, তার মধ্যে একটি বেশি ময়লা। এ ক্ষেত্রে কুইক ওয়াশ ব্যবহার করলে বাকি কাপড় পরিষ্কার হলেও ওই কাপড়টি পরিষ্কার না-ও হতে পারে। আবার এক বার ব্যবহার করা হয়েছে এ রকম বিছানার চাদর এবং বালিশের কভারও কুইক ওয়াশে দেখা যাবে সুন্দর কাচা হয়েছে। অর্থাৎ কুইক ওয়াশের ক্ষেত্রে ‘হেভি লোড’ বিবেচ্য নয়।
কখন ব্যবহার করা উচিত
যে সমস্ত পোশাক বেশি ময়লা হয়নি, কিন্তু পরিষ্কার করা উচিত, তাদের ক্ষেত্রে কুইক ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।
কখন ব্যবহার করবেন না
সাধারণত ওয়াশিং মেশিনে ময়লা জামাকাপড়ই কাচা হয়। তাই সে ক্ষেত্রে নরমাল মোড ব্যবহার করা উচিত। ভারী পোশাকের (যেমন শীতের পোশাক বা জিন্স) ক্ষেত্রে হেভি মোড ব্যবহার করা উচিত।