Advertisement
E-Paper

বালিশ, কুশন পরিষ্কার না করলেই বাসা বাঁধবে রোগ-জীবাণু, কতদিন অন্তর ও কী ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখবেন?

বালিশ, কুশনে প্রতিদিন জমছে শরীরের ঘাম, ধুলোময়লা। ঠিকভাবে পরিষ্কার না রাখলে জীবাণু বাসা বাঁধবে আপনার শরীরেও। বাড়িতে কারও অ্যালার্জির ধাত থাকলে তো কথাই নেই। কী ভাবে বালিশ, কুশনের যত্ন নেবেন জেনে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৮:০২
How to clean your pillows and cushions

কী ভাবে বালিশ, কুশন পরিষ্কার করবেন, জেনে নিন সহজ উপায়। ছবি: ফ্রিপিক।

শোয়ার বিছানায় পরিপাটি করে বালিশ রেখেছেন সে তো ঠিক আছে, কিন্তু পরিষ্কার রাখেন তো? বিছানা ও বালিশের চাদর সময়ান্তরে বদলে দেন, কিন্তু বালিশ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে তেমন কেউ মাথা ঘামান না। তেমনই কুশন পরিষ্কার রাখার কথা মাথাতেও আসে না। অথচ জানেন কি অপরিষ্কার বালিশ কিন্তু রোগ জীবাণুর বাসা? খেয়াল করে দেখুন, বালিশে সাত থেকে আট ঘণ্টা মাথা রেখে ঘুমোচ্ছেন, হাঁচি-কাশি, মুখের লালা-থুতুও লাগছে বালিশে। আবার মাথার চুলের ময়লা বা ঘামও লাগছে বালিশে। কুশনেও তাই। হাত পরিষ্কার করে যে কুশন ধরেন, তা নয়। বাইরে থেকে এসেই সোফায় গা এলিয়ে বসে পড়েন। কাজেই কুশনেও ধুলোময়লা জমছে প্রতিনিয়ত। তাই বালিশ, কুশন পরিচ্ছন্ন রাখা খুব জরুরি।

১) সপ্তাহে একদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে বালিশগুলি পরিষ্কার করুন। দেখবেন, সব ধুলোময়লা উঠে গিয়েছে। গরমের দিনে ঘামে ভিজে যায় বালিশ। সেই ভাবে রেখে দিলে কিন্তু হাজারটা জীবাণু বাসা বাঁধবে। কাজেই ড্রায়ারে কম তাপমাত্রায় শুকনো করে নিন।

২) বালিশ বা কুশনে চেন দেওয়া কভার লাগান। যদি সম্ভব হয়, দু’টি করে কভার লাগিয়ে দিন। রাতে শোয়ার সময়ে উপরের কভারটি সরিয়ে দেবেন। যদি এই পদ্ধতি মেনে না চলতে পারেন, তা হলে সপ্তাহে একদিন অন্তত বালিশ বা কুশনের কভার কেচে নিতেই হবে। শিশুর মাথার বালিশ হলে তার কভার ডেটল জলে বা জীবাণুনাশক সাবানে কাচবেন।

৩) তুলোর বালিশ হলে নিয়মিত রোদে দেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশুর মাথার বালিশ রোদে দিতেই হবে। একই বালিশ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। সাধারণত এক একটি বালিশ ৬ মাসের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। নতুন তুলোর বালিশ তৈরি করিয়ে নিন অথবা পুরনো বালিশের তুলো বার করে নতুন করে তুলো ভরিয়ে নিন।

৪) ফাইবারের বালিশ ওয়াশিং মেশিনেই কাচা যাবে। অল্প পরিমাণ তরল ডিটারজেন্ট দিয়ে বালিশ দিতে হবে। একবারে দু’টির বেশি বালিশ দেবেন না। অল্প গরম জল যোগ করে মেশিন চালিয়ে দিন। ওয়াশিং মেশিনেই শুকিয়ে রোদে রেখে দিন।

৫) বালিশ কখনও প্লাস্টিকে মুড়ে রেখে দেবেন না। সবসময়ে সুতির নরম কাপড়ে মুড়িয়ে রাখবেন। এতে বালিশ দীর্ঘ সময় ভাল থাকবে।

৬) বালিশের তুলো যখন শক্ত হয়ে যাবে, বুঝবেন বদলানোর সময় হয়েছে। বালিশ দু’পাশ থেকে ভাঁজ করে আবার ছেড়ে দিন। যদি আগের অবস্থায় ফিরে আসে বুঝবেন তা ভাল আছে। কিন্তু যদি তা না হয়, তা হলে বুঝবেন ভিতরের তুলো খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই বালিশ আর ব্যবহার না করাই ভাল।

৭) বালিশের মতো কুশনের তুলোও মাঝে মাঝে বদলে দিন। কুশন কভারে যদি বিডস বা কাচের কাজ থাকে, তা হলে ড্রাই ওয়াশ করতে হবে। কুশন যদি পলিয়েস্টারের হয়, তা হলে বাড়িতেই পরিষ্কার করা যাবে। কেনার সময়ে জেনে নেবেন কুশনের ভিতরে কী ভরা আছে। সেই মতো যত্ন নিতে হবে।

Pillow Cover Lifestyle Tips home tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy