দিনের শেষে ঘরে ফিরেই যে জায়গাটির খোঁজ পড়ে সকলের সেটি হল স্নানঘর। এককালে বাড়িতে শৌচালয় এবং স্নানের জায়গা আলাদা থাকত। তবে এখন ফ্ল্যাট হোক বা বাড়ি স্থান সঙ্কুলানের অভাবে শৌচালয় এবং স্নানঘর হয় একটি।
সেই স্নানঘরে ঢুকেই যদি স্যাঁতসেঁতে ভাব, আলো-হাওয়ার অভাব টের পেতে হয় তখন পরিশ্রান্ত শরীরে কি আর সময় নিয়ে স্নান করতে ইচ্ছা হয়? তা ছাড়া, স্নানঘরের এমন পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। পুরনো স্নানঘর কী ভাবে আলোকোজ্জ্বল করে তুলবেন?
১. স্নানঘর অথবা শৌচালয়ে জানলার বিষয়ে কেউ মনোযোগ দেন না। ফলে সমস্যা হয় সেখানেই। আড়াল প্রয়োজন বলেই ছোট আকারের একটি জানলা যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। সে কারণে প্রাকৃতিক আলোর জোগান কমে যায়। যদি স্নানঘর নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা থাকে তা হলে দেওয়ালের একেবারে উপরের দিকে যেখানে ঘুলঘুলি থাকে সেই জায়গাটিতে লম্বা করে কাচ বসিয়ে নিলে আড়াল নিয়ে যেমন সমস্যা হবে না তেমনই আলো ঢুকবে অনেক বেশি। হাওয়া আসার জন্য একাধিক এবং বড় আকারের ঘুলঘুলি রাখতে পারেন। তবে নতুন করে স্নানঘর তৈরির পরিকল্পনা না থাকলে যে জানলাটি রয়েছে তাতে এমন কাচ বসান যাতে আলো বেশি আসে। প্রয়োজনে পর্দা রাখতে পারেন, যেটি ইচ্ছেমতো টেনে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
২. আয়না শুধু মুখ দেখার জন্য নয়, স্নানঘরের আলো বাড়াতেও কাজে লাগে। জানলার আলো ঠিক যে দেওয়ালে এসে পড়ছে সেখানে বেশ বড় একটি আয়না রাখলে তা প্রতিফলিত হবে। ফলে স্নানঘর আলোকোজ্জ্বল দেখাবে।
৩. স্নানঘরে নতুন করে আলো লাগালে এই সমস্যার সমাধান হবে। সাধারণত, বিদ্যুৎ বাঁচায় এমন একটি আলোই বেশির ভাগ বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বেশির ভাগ লোকজন ভাবেনই না। কিন্তু স্নানঘরেও যদি সিলিং লাইট বা নির্দিষ্ট কোণে ছোট এলইডি একাধিক আলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায়, স্নানঘরের ভোল পাল্টে যাবে।
৪. জানলার উল্টো দিকে কোনও জানলা বা দরজা থাকলে, বাইরের হাওয়া এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্য দিকে দিয়ে বেরোলে ঘরের ভ্যাপসা কিংবা স্যাঁতসেঁতে ভাব কেটে যায়। স্নানঘরে এমন অবস্থানে জানলা অথবা দরজা থাকলে— সেটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
৫. আলোর পিছনে দেওয়াল এবং ছাদের রঙের ভূমিকাও থাকে অনেকটাই। কোনও কোনও রং সে ভাবে আলো প্রতিফলিত হতে দেয় না। মূলত গাঢ় রং লাগালে স্নানঘর বেশি অন্ধকার মনে হতে পারে। প্যাস্টেল, ধূসর রং, অফ-হোয়াইট— এই রংগুলি থাকলে সাধারণত যে কোনও ঘর উজ্জ্বল দেখায়।