ফুলের বাগান করার আদর্শ সময়ই হল বর্ষাকাল। বৃষ্টিমুখর দিনের সন্ধ্যায় আপনার বাড়ি বেল, জুঁই, গোলাপ, জিনিয়া, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখীর শোভায় হয়ে উঠুক মনোরম। গোলাপ, বেলি আর জুঁই বছর-বছর লাগানোর দরকার হয় না। ফুল ফোটা শেষ হয়ে গেলে গাছ ছেঁটে দেওয়া হয়। পুরনো গাছের শিকড় কেটে নতুন করে বসানো হয়। তবে যদি সূর্যমুখী ফোটাতে চান বাড়িতে, তার জন্য সবচেয়ে ভাল সময় হল বর্ষাকালই। চারা রোপণ থেকে গাছের পরিচর্যা, রইল খুঁটিনাটির খোঁজ।
চারা রোপণ
সূর্যমুখী ফোটানোর জন্য চারা পুঁততে হবে জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাই অবধি সময়ের মধ্যে। আবার সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর অবধিও সময় আছে। তবে বৃষ্টির সময়েই ফলন সবচেয়ে ভাল হয়। মাঝারি মাপের টবে বীজ ছড়িয়ে চারা তৈরি করে নিতে হবে। না হলে নার্সারি থেকে ফুল গাছের চারা কিনে এনে পুঁততে পারেন। বীজ পুঁতলে প্রতিদিন জল দিতে হবে। মাটি যেন ভিজে থাকে তা দেখতে হবে। মাটি শুকনো হয়ে গেলে অঙ্কুরোদ্গম ঠিকমতো হবে না। সাত থেকে আট দিনের মাথায় চারা বেরোবে। চারা বার হলে তা বড় টবে পুঁতে দিতে হবে।
মাটি-সার
মাটি তৈরি করে রাখতে হবে বর্ষার আগে। বেলে,দোঁয়াশ মাটিতে ফলন ভাল হবে। এ ছাড়া পলিমাটি বা এঁটেল মাটিতেও গাছ ভাল হবে। মাটির পিএইচ ৫.৫-র নীচে থাকলেই ভাল। মাটিতে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিকঠাক হতে হবে।
আরও পড়ুন:
সূর্যমুখীর চারা একটু বড় হলে গাছে সরষের খোল দিতে পারেন। খোল দেওয়ার আগে সাত দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। খোল ভিজিয়ে রাখার পর উপর থেকে খোলের পাতলা জল দিলে গাছের বৃদ্ধি এবং ফুল ভাল হবে।
জৈব সার তৈরি করে নিতে পারেন বাড়িতেই। পচে যাওয়া ফল বা সব্জি ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখতে পারেন সার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। গাছের ছেঁটে দেওয়া ডালপালাও সারের কাজে লাগতে পারে। গাছ থেকে শুকনো, ঝরে পড়া পাতাও সারের কাজে লাগানো যায়।
জল
জল নিয়মিত দিতে হবে গাছে। তবে গাছের গোড়ার মাটি যেন বেশি ভিজে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আলো
পর্যাপ্ত সূর্যালোক চাই সূর্যমুখীর ফলনে। দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা গাছ রোদে রাখতেই হবে। অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় গাছের ফলন ভাল হবে না।
কীটনাশক
বৃষ্টির সময়ে ফুল গাছের ফলন যেমন ভাল হয়, তেমনই পোকা লাগার ভয়ও থাকে। তার জন্য নিমপাতা জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পাতায় স্প্রে করুন।