অন্দরসজ্জায় জেড প্ল্যান্ট খুবই জনপ্রিয়। অফিস ডেস্ক হোক বা বাড়ির টেবিল, স্বল্প সূর্যালোকে, অল্প যত্নে বেড়ে ওঠে বলে এই গাছের কদর যথেষ্ট।
জেড প্ল্যান্ট সাধারণত টব এবং চারা-সহ কেনেন লোকজন। তবে খরচ বাঁচাতে চাইলে এই গাছের পাতা থেকেই তৈরি করতে পারেন নতুন গাছ। কৌশলও সহজ।
১। নতুন চারা পেতে হলে সুস্থ-সবল জেড প্ল্যান্ট প্রয়োজন। প্রথমে কোনও তাজা গাছ থেকে কাঁচি দিয়ে জেড প্ল্যান্টের পাতা-সহ ছোট একটু ডাল কেটে নিন।
২। আঙুলের সাহায্যে আলতো চাপে তা থেকে পাতা ছিঁড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, পাতায় যেন কোনও হলুদ বা খয়েরি ছোপ না থাকে। সেটি যেন ঘন সবুজ হয়।
৩। এ বার শুকনো কোনও স্থানে পাতাগুলি রেখে দিন। সেখানে যেন সূর্যালোক না আসে। এ ভাবে ২-৩ দিন পাতাগুলি রাখতে হবে।
৪। গাছ বসানোর জন্য লাগবে সাকুলেন্ট বা ক্যাকটাস গাছের জন্য প্রয়োজনীয় মাটির মিশ্রণ। খুব সহজেই অনলাইনে বা নার্সারিতে এই ধরনের মিশ্রণ পাওয়া যায়।
৫। এ বার একটি চওড়া, চ্যাটালো পাত্রে মাটি ছড়িয়ে দিন। তার নীচে যেন ছিদ্র থাকে, যাতে মাটিতে অতিরিক্ত জল চলে গেলে তা বেরিয়ে যেতে পারে। মোট কথা, পাত্রটিতে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হওয়া দরকার।
৬। এর পর মাটির উপরে পাতাগুলি এক এক করে শুইয়ে দিন। মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। দু’টি পাতার মধ্যে যেন বেশ কিছুটা ফাঁক থাকে। বোতলের সাহায্যে অল্প জল স্প্রে করে দিন। বেশি জল দেওয়া যাবে না কোনওমতেই।
৭। জেড প্ল্যান্টের পাতা সাজিয়ে রাখা পাত্রটি রাখুন এমন কোনও স্থানে, যেখানে সরাসরি সূর্যালোক না পড়লেও, রোদের হালকা তাপ রয়েছে। জানলার ধারে কোনও জায়গায় সেটি রাখতে পারেন।
৮। এক বা দু’দিন অন্তর তাতে জল স্প্রে করতে হবে। ৫-১০ দিনের মধ্যেই দেখা যাবে এক একটি পাতা থেকে শিকড় এবং নতুন চারা গজিয়ে উঠছে।
৯। উপযুক্ত জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকবে, এমন ছোট ছোট পাত্রে বা টবে জেড প্ল্যান্টের উপযোগী মাটি প্রস্তুত করে খুব সাবধানে শিকড়-সহ চারা তুলে বসিয়ে দিতে হবে। প্রথম দিকে গাছ সরাসরি সূর্যালোকে রাখা যাবে না। তবে শিকড় মাটিতে শক্ত হয়ে গেলে হালকা রোদ আসে, এমন জায়গায় গাছ রাখুন।
১০। জেড প্ল্যান্টের মাটিতে জল দেওয়ার আগে আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে নিন, মাটি শুকিয়েছে কি না। তার পর জল দিন। গরমের দিনে জলের পরিমাণ বেশি হওয়া প্রয়োজন। সঠিক আলো-হাওয়ায় রাখলেই নতুন জেড প্ল্যান্ট দিন কয়েকেই বড় হতে থাকবে।