পুরনো আমলের বাড়ি, গরাদ দেওয়া জানলা, মোটা মোটা দেওয়াল, লাল মেঝে। এমন বাড়ির আনাচকানাচ কী ভাবে সাজিয়ে তোলা যায়, ভেবে পাচ্ছেন না? অন্দরমহলে সাবেক সাজও কিন্তু হতে পারে নজরকাড়া। ঘরের রূপ বদলে দিতে পারে পিতল এবং তামার সুদৃশ্য জিনিসপত্র। ফুলদানি থেকে চৌকি, ফুল রাখার সাজি, ফ্রেম এমনকি আসবাব দিয়েও পাল্টে দেওয়া যায় ঘরের শোভা। শুধু পুরনো দিনের বাড়ি নয়, সঠিক পরিকল্পনায় আধুনিক ফ্ল্যাটও সাজানো যায় সাবেক ধাঁচে।
বাসনপত্র হিসাবে কাঁসা-পিতল, তামার ব্যবহার চলে আসছে বহু দিন। অন্দরসজ্জাতেও তা নতুন নয়। পিতলের একটা ফুলদানি হোক বা ভাস্কর্য— সঠিক ভাবে সাজিয়ে রাখতে জানলে যে কোনও জায়গাই আকর্ষক হয়ে উঠতে পারে।
আলোর ব্যবহার: বারন্দা হোক বা করিডর কিংবা বৈঠকখানা, মনের মতো করে সাজাতে পিতল অথবা তামা কিংবা দুই ধাতুর মেলবন্ধনে তৈরি শৌখিন আলো ব্যবহার করতে পারেন। ছাদ থেকে ঝোলানো ঝাড়বাতি, লণ্ঠনের মতো আলো আনতে পারে বনেদি বাড়ির মতো রূপ। পিতল দিয়ে তৈরি আধুনিক নকশার আলোও বদলে দিতে পারে ঘরের সজ্জা। ইচ্ছামতো পুরনো বা আধুনিক যে কোনও নকশাই বেছে নেওয়া চলে।
আরও পড়ুন:
বাসনপত্র: অন্দরসজ্জায় সাবেক রূপ থাকলে অতিথি আগমনে খাবার পরিবেশন করতে পারেন কাঁসার থালা-বাটিতে। পিতলের ফুলদানিতে তাজা ফুল সাজিয়ে রেখে দিতে পারেন খাওয়ার টেবিলে। তবে পুরনো দিনের বাসন ব্যবহার করলে রান্নাও করতে হবে সেইমতোই।
চৌকি, ফুলদানি: পিতলের রং হয় হলদেটে। তামা কিছুটা লালচে। এই দুই উপকরণ খুব সুন্দর ভাবে কাজে লাগিয়ে অন্দরসজ্জার নানা উপকরণ তৈরি হচ্ছে এখন। বাইরের দিকে থাকে পিতল, তার মধ্যে তামার কারুকাজ। এমন নকশার ফুলদানি, চৌকিও রাখা যায় অন্দরসজ্জায়। পিতলের ছোট ছোট উট, হাতি, পাখি, মূর্তিও ঘরের সঙ্গে মানানসই হতে পারে।
আয়না: টেবিলে রাখার, দেওয়ালের আয়না হয়। পিতলের কারুকাজ করা রকমারি আয়নাও অন্দরের রূপ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের আয়না পাওয়া যায়। পাওয়া যায় পিতলের কারুকাজ করা দেওয়াল ঘড়িও। এ ছাড়াও ছবির ফ্রেমও ঘরের সৌন্দর্যে অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে।
পিতলের আসবাব: রট আয়রনের মতো পিতলেরও খাট হয়। ঘরের সাজসজ্জায় পিতলের জিনিসপত্র ব্যবহার করলে খাটটিও বদলে নিতে পারেন।