Advertisement
E-Paper

বাড়ি-ঘর সব সময়েই অগোছালো হয়ে থাকে? কয়েকটি অভ্যাসেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে

গোছাব, গোছাব করে ঘর আর গোছানো হয় না? নতুন বাড়ির হতশ্রী দশা হয়েছে এক বছরেই? ব্যস্ততার মধ্যে ঘর টিপটপ রাখা যেতে পারে সহজ কয়েকটি অভ্যাসে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১১:০১
ঘরদোর সব সময়ই অগোছালো থাকে? কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব?

ঘরদোর সব সময়ই অগোছালো থাকে? কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? ছবি:ফ্রিপিক।

বাড়িতে অতিথি আসবে শুনলেই চিন্তা শুরু হয়ে যায় তোড়ার। ঘরদোর যে অগোছালো হয়ে পড়ে থাকে। শোয়ার ঘর, ড্রেসিং টেবিল, রান্নাঘর, বসার জায়গা— কোনটা ছেড়ে কোনটা গোছাবেন?

তোড়া তো প্রতীক মাত্র। এমন অবস্থা থাকে বেশির ভাগ বাড়িতেই। দেখা যায়, অতিথি আসবেন বলেই দিন দুই-তিন ঝাড়পোঁছ, পরিষ্কার করার তাগিদ তৈরি হয়। অতিথি ঘুরে ফিরে গেলে আবার যে কে সেই!

তা ছাড়া ঘরে বাইরের কেউ হঠাৎ এসে পড়লেও লজ্জার সীমা থাকে না।

লোকে বলবেন, দিনরাত ঘর পরিষ্কার, জিনিস গুছিয়ে রাখার সময় কই? সারা দিন খাটনির পর জায়গার জিনিস জায়গায় রাখা, জামা ভাঁজ করা, ধুলো ঝাড়া কি চাট্টিখানি কথা? কথাটা পুরোপুরি ভুল নয়। তবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে কয়েকটি কৌশল এবং অভ্যাসে। বিদেশের পেশাদার ঘরদোর গোছানোর কাজ যাঁরা করেন, তাঁরাই দিচ্ছেন পরামর্শ।

অনেকেই ঘরদোর পরিষ্কার করতে জিনিসপত্র বড় বড় দেরাজে বা আলমারির মধ্যে ভরে ফেলেন। কেউ কেউ না-কাচা জামা ভরে দেন ওয়াশিং মেশিনে। কিন্তু এটা কোনও সমাধান হতে পারে না, বলছেন এ বিষয়ে পেশাদার লরা কাট্টোনো। তাঁর কথায়, কিছু জিনিসের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও অনেক কিছুই অপ্রয়োজনীয় থাকে। সেটিও কিন্তু ঘর অগোছালো হওয়ার কারণ।

প্রয়োজনীয়তা বোঝা: শোয়ার ঘর থেকে বসার ঘর, এমনকি হেঁশেলেও এমন অনেক জিনিস থাকে, যা কিন্তু দরকার নেই। অনেকেই একসঙ্গে রান্নার অনেক জিনিস আগাম কিনে ফেলেন, যা কেনার প্রয়োজন ছিল না। অথচ সেই জিনিস কোথায় রাখা হবে, সেই ভাবনা থাকে না। কিন্তু একটু ভেবে জিনিস কিনলে ভাঁড়ার ঘর বা রান্নাঘরের জিনিসপত্র রাখার দেরাজ তুলনামূলক ভাবে ফাঁকা এবং পরিষ্কার থাকতে পারে। একই কথা প্রযোজ্য পোশাক, প্রসাধনীর ক্ষেত্রেও।

রাখার জায়গা: ঘর কেমন ভাবে দেখতে চাইছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। জিনিস ধরছে না তাই ঢাউস আলমারি বা দেরাজ কিনে নিয়ে এলেন। সেটা হয়তো ঘরের পক্ষে জবরজং হয়ে উঠেছে। লরার পরামর্শ, জিনিসপত্র রাখার জায়গা কিছুটা খোলা, কিছুটা ঢাকা— এ ভাবেই কিনতে হবে। সুদৃশ্য বাক্স বা বসার জায়গার নীচে জিনিস রাখার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। জিনিসপত্র রাখার জায়গা যেন ঘর এবং বাড়ির সঙ্গে মানানসই হয়, বাড়তি না মনে হয়।

নিয়মিত পরিষ্কার: জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে থাকার কারণ হল নিয়মিত না গোছানো। দিনের শেষে একটা সময় নির্দিষ্ট করে যদি বসার ঘর, টেবিল গুছিয়ে নেওয়া যায় তা হলে ঘরদোর অগোছালো থাকবে না। রাতে কিছুটা সময় এ জন্য রাখতে পারেন। যে কাজ রাতে হবে না, সেটা দিনের শুরুতেও করে ফেলা যায়। তবে নিয়ম মেনে করতেই হবে।

সকালেই বিছানা পরিষ্কার: ঘুম থেকে আলস্য কাটিয়ে বিছানা গুছিয়ে ফেলুন। সারা দিন কাজের পরে ভাঁজ হয়ে পড়ে থাকা বিছানা দেখলে কারই বা ভাল লাগে? সে সময় বিছানার চাদর পাততেও ইচ্ছা হবে না।

টেবিল, আবর্জনা ফেলার পাত্র পরিষ্কার রাখুন: খাবার, কাপ, প্লেট অনেকেই টেবিলে দেখে দেন। এক সপ্তাহ পরেই দেখা যায়, টেবিল ভরেছে মধুর শিশি, রান্নার জিনিস, নুন, ওষুধ, হাবিজাবি অনেক জিনিসে। আবর্জনা ফেলার পাত্র থেকে ময়লা ফেলছি-ফেলব করে দিন কাটালে সেটা উপচেই পড়বে।

জরুরি নথি: অর্থ লগ্নির কাগজ থেকে পরীক্ষার রেজ়াল্ট, সার্টিফিকেট, পরিচয়পত্র— এ সবই অনেক বাড়িতে গুছিয়ে রাখা হয় না। সমস্যা হয় যখন হঠাৎ করে এই সবের প্রয়োজন পড়ে। তাই জরুরি নথি, প্রয়োজনীয় কাগজ, সার্টিফিকেট নির্দিষ্ট জায়গায় সুরক্ষিত স্থানে একসঙ্গে গুছিয়ে রাখুন।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন: বহু বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাদের কোণে, ঘরের কোথাও, খাটের নীচে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে। পুরনো, কাজে লাগে না, এমন জিনিস যাঁর দরকার তাঁকে দিয়ে দিতে পারেন। পোশাক, শিশুদের খেলনার ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য। ঘর খালি না করে নতুন জিনিস কিনলে, এক সময় উপচে পড়বেই। তখন দেখতে অগোছালো লাগবে।

Home Cleaning Tips Home Decoration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy