শখের বাগানে রংবেরঙের ফুল হবে, রকমারি গাছগাছালি থাকবে, কিন্তু তাতে যদি প্রজাপতি পাখা মেলে না ওড়ে, তা হলে সাধ মেটে না। অতিথি আগমন না হলে যেমন গৃহসজ্জার অর্থ থাকে না, তেমনই সাজানো বাগানে প্রজাপতি, মৌমাছির দলের ভিড় না হলে সুখ আসে না। তা ছাড়া, এমন পতঙ্গের আনাগোনা থাকলে তবেই পরাগ মিলন হয়। গাছের, ফুল, ফল ও বীজ উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য একটি ধাপ এটি।
শীতের বাগানে ফুল-ফল চেনাতে চান সন্তানকে? খুদেকে প্রজাপতি-মৌমাছি দেখাতে চান? কয়েকটি সহজ কৌশলে প্রজাপতি-মৌমাছিকে নিজের বাগানের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন।
১। সঠিক গাছ চয়ন খুব জরুরি। রঙিন ফুল, গন্ধ পতঙ্গদেরও আকৃষ্ট করে। পরাগরেণু ছড়িয়ে দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল, পতঙ্গেরা যা পছন্দ করে, তা রোপণ করা। স্থানীয় ফুলগাছের সঙ্গে স্থানীয় মৌমাছি এবং প্রজাপতিরা বেশি পরিচিত। তাই সেই সব গাছই বেশি করে পুঁততে হবে বাগানে। শীতের বাগানে বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ রাখুন, এতে পতঙ্গেরা আকৃষ্ট হবে।
২। বাগান যদি খুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়, তবেই সে গাছ নিয়ে ভাববে। ফলের গাছ, সব্জির গাছও লাগাতে পারেন। বইয়ে পড়া ফল, সব্জি গাছে ফলতে দেখলে খুদে খুশি হবে। গাছের পরিচর্যার সহজ ধাপগুলি সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে করুন। এতে সে প্রকৃতির প্রতি আগ্রহী হবে।
৩। পুরো বাগান পরিপাটি করে না সাজিয়ে কোনও অংশে বুনো গাছ বেড়ে উঠতে দিন। অনেক সময় ঝোপঝাড়ও কীটপতঙ্গদের আশ্রয়স্থল হয়। তা ছাড়া, শিশুকেও বোঝানো যাবে, প্রকৃতি, গাছপালার নিজস্ব বেড়ে ওঠা সৌন্দর্য।
৪। রাসায়নিক সার, কীটনাশক শুধু পরিবেশ নয়, মানুষ বা পতঙ্গের জন্যও ক্ষতিকর। শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষেও তা বিপজ্জনক। বাগানে জৈব সার প্রয়োগ করুন। পোকার হানা ঠেকাতেও প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা যায়।
৫। পাখি যেখানে বসতে পারে তেমন জায়গা, জল রাখার পাত্র রেখে দিন। ঝরা পাতা মাটিতে কোথাও কোথাও পড়ে থাকতে দিন। পরিবেশ রক্ষায়, বাস্তুতন্ত্রের জন্য তা জরুরি। এতে পাখি, কীটপতঙ্গের আনাগোনা বাড়বে।