অনেক গাছই দেখতে সুন্দর। কোনওটির বাহারি পাতা, কোনওটির আবার ফুলের সৌন্দর্য মনকাড়া। কিন্তু যে কোনও গাছ ঘরে আনলেই হল না। উপযুক্ত পরিচর্যা না জানা থাকলে দাম দিয়ে কেনা গাছ মারাও যেতে পারে। ৩ গাছ কেনার আগে বার কয়েক ভেবে নিন।
এই গাছ গুলি ঘরে আনার আগে ভেবে নিন পরিচর্যা করতে পারবেন কি না? ছবি: এআই।
বনসাই: বনসাই বলতে বোঝায় বড় গাছের ক্ষুদ্র সংস্করণ। আসলে বনসাই শব্দটি জাপানি। ‘বন’ মানে টব বা ছোট পাত্র, ‘সাই’-এর অর্থ মাটিতে পুঁতে দেওয়া গাছ। অশ্বত্থ, বটের মতো গাছও বনসাই করা যায়। ঘর বা বারান্দার এক চিলতে বাগানে অনেকেই বনসাই রাখছেন এখন। চারা গাছ বেড়ে ওঠার সময় তার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সঠিক পন্থায় গাছটি কাটছাঁট করতে হবে। না পারলে, গাছ বাঁচানো বা বনসাই রাখা কঠিন হতে পারে। এ জন্য অভিজ্ঞ বা পেশাদার উদ্যানপালক দরকার। ফলে বনসাই নিয়ে যথেষ্ট পড়াশোনা বা এটি করার কৌশল না জানলে, ঘরে না আনাই ভাল।
অর্কিড: অনেকেই এখন শখ করে ঘরে অর্কিড রাখছেন। তবে যে কোনও অর্কিড গরম পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে না। কোন প্রজাতির অর্কিড কিনছেন তার উপর নির্ভর করবে, সেটি ঘরে ভাল থাকবে কি না। আবহাওয়া গাছের উপযুক্ত না হলে ফুল ফুটবে না। ভারতীয় আবহাওয়ায় যে কোনও প্রজাতির অর্কিডে ফুল ফোটে না। আবার পাহাড়ি এলাকায় যে ফুল সহজে ফোটে তা শহরের গরমে তা হতে চায় না। এই বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে গাছ কিনলে সেটি বাঁচানো কঠিন হতে পারে।
ফিড্ল লিভ ফিগ: বড় বড় পাতার গাছটি দেখতে দারুণ। কিন্তু এই গাছের জন্য জল, হাওয়া, মাটির শর্ত পূরণ না হলেই গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জল কম দিলেও সমস্যা। আবার বেশি দিলেও ঝামেলা। জলের মাত্রার হেরফের হলেই গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। এই গাছে রোগ সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। গাছটি হালকা ছায়াছন্ন এলাকায় ভাল বাড়ে। ফিড্ল লিভ গাছের পরিচর্যা নিয়ে ধন্দ থাকলে বা ঘর ছোট হলে, এই গাছটি এড়িয়ে যেতে পারেন।