শৌখিন, সুদৃশ্য ঘর সাজানোর সামগ্রী যতই থাকুক না কেন, এক গোছা ফুল বা বাহারি গাছের সৌন্দর্য সব সময়েই আলাদা। কারণ, এতে থাকে প্রকৃতির স্পর্শ, সজীবতা। অন্দরের ভোল পাল্টে দিতে পারে সুদৃশ্য পাত্রে বেড়ে ওঠা বাহারি গাছ। বারান্দা হোক বা বড় জানলা, বাহারি গাছ চেন দিয়ে ঝুলিয়ে দিলেই বদলে যায় ঘরের সৌন্দর্য। অন্দরসজ্জার জন্য বেছে নিন এমন তিন বাহারি গাছ।
ডাঙ্কিজ় টেল
ডাঙ্কিজ় টেল রাখতে পারেন অন্দরসজ্জায়। ছবি:সংগৃহীত।
ডাঙ্কিজ় টেল নামে পরিচিত গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম সেডাম মোরগানিয়ানাম। সাক্যুলেন্ট গোত্রের এই গাছকে গাধার পুচ্ছের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ছায়াঘেরা স্থান, যেখানে সূর্যের তাপ আসে, হাওয়া খেলে এমন জায়গাই বেড়ে ওঠার জন্য আদর্শ। এই গাছের জন্য বিশেষ জল লাগে না। তবে মাটি শুকিয়ে গেলে জল দিতে হয় ভাল করে। গাছের গোড়ায় জল জমলে অবশ্য বিপদ। তবে বাড়িতে পোষ্য বিড়াল থাকলে এটি এড়িয়ে চলাই ভাল। ঝুলন্ত টব বেয়ে এর মোটা মোটা পাতা লেজের মতো নেমে এলে দারুণ দেখায়।
স্ট্রিং অফ পার্লস
অন্দরসজ্জায় রাখতে পারেন স্ট্রিং অফ পার্লস। ছবি: সংগৃহীত।
এই গাছের পাতাগুলি দেখতে বড় বড় মুক্তোর মতো। বেড়ে উঠলে মনে হয় যেন মুক্তোর ছড়া। গৃহসজ্জায় এমন গাছও কিন্তু বেছে নেওয়া যায়। এই গাছ বাইরে, ভিতরে, দুই জায়গাতেই বসানো যায়। ঘরে গাছ রাখলে একটু ছায়াযুক্ত অথচ আলো-হাওয়া মেলে এমন জায়গায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত গরম এবং বেশি জল গাছের পক্ষে ক্ষতিকর। হালকা আর্দ্র মাটি এই গাছের জন্য ভাল। কখনও কখনও এই গাছে ফুলও ফোটে।
বস্টন ফার্ন
বস্টন ফার্নও কিন্তু ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বৈচিত্রের নিরিখে ফার্নের ভান্ডার সমৃদ্ধ। তবে এ দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ইনডোর ফার্ন হল বস্টন ফার্ন। রোদে ফার্নের বৃদ্ধি ভাল হয় না। তাই উজ্জ্বল আলো অথচ আধো-ছায়া আছে এমনন স্থান আদর্শ। এই গাছের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল না হলে গোড়া পচে যেতে পারে। মাটি দেওয়ার আগে নুড়িপাথর বা স্টোন চিপ্ দিতে পারেন। তা হলে চট করে জল বসবে না।