ঘামাচির সমস্যায় আস্থা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: শাটারস্টক।
কাঠফাটা রোদ আর প্রখর তাপের চোখ রাঙানিতে ওষ্ঠাগত হওয়ার সময়ে এসে গিয়েছে। এই সময়ে জাঁকিয়ে বসে ত্বকের সমস্যা। সারা দিন ঘেমেনেয়ে শরীরে জায়গা করে নেয় ঘামাচি। আর এই ঘামাচির জেরে লেগেই থাকে চুলকানির সমস্যা।
ঘামাচি অবশ্য এটুকুতেই থেমে থাকে না। ত্বক অনুসারে এর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। র্যাশ, প্রদাহ সব মিলিয়ে ত্বকের ক্ষতি তো হয়ই, সঙ্গে অস্বস্তি ও শারীরিক কষ্টও বাড়ায়। বাজারচলতি কিছু পাউডার বা সাবান এই সমস্যা থেকে দূর করতে পারে বলে প্রস্তুতকারী সংস্থারা দাবি করলেও, তাতে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে। ফলে ত্বকের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে তো অনেক সময় এই সব সাবান বা পাউডার বিরূপ প্রভাবও ফেলে। ঘামাচির বাড়াবাড়ি রকমের সমস্যা থাকলে তাই অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কিন্তু সাধারণত এই ঘামাচির সমস্যায় আরাম দিতে পারে ঘরোয়া উপায়ও। জানেন কী ভাবে তা সম্ভব?
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ওজন, এই সব প্রোটিন দিয়েই রুখে দিন মেদ
একটা শুকনো কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে ঘামাচির উপর লাগান। দিনে ৩-৪ বার এই ভাবে করলে ভাল ফল পাবেন। চার টেবিলচামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। কিছু ক্ষণ রেখে শুকিয়ে নিন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন। এক কাপ ঠান্ডা জলে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার কাপড় ডুবিয়ে ঘামাচির উপর ১০ মিনিট পর্যন্ত রেখে আলতো হাতে মুছতে থাকুন। ঘামাচির মোক্ষম নিরাময় হল অ্যালোভেরা। ঘামাচির উপর শুধু অ্যালোভেরার রস বা হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগান। কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভাঙবে কি? এ সব লক্ষণ দেখলে সাবধান হোন এখনই
অ্যালোভেরার ছোঁয়ায় ত্বক রাখুন ঠান্ডা ও তরতাজা।
নিম পাতা ঘামাচির উপশম হিসাবে খুবই কার্যকরী। নিম পাতার রসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। ঘামাচি না চুলকে তার উপর নিম ডাল বোলালেও আরাম পাবেন। ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। দ্রুত উপশম পাবেন। ৩ টেবিল চামচ ওটমিলের সঙ্গে অর্ধেক টেবিলচামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy